বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি) ছিল বাংলাদেশের একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত দেশের চারটি প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়কে একত্রিত করে গঠিত হয়েছিল এবং পরবর্তীতে এগুলো পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (বিআইটি) যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৪ সালে, যখন এটি রাজশাহী প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় এবং ঢাকা প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় নামে চারটি পৃথক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। প্রথমদিকে, এগুলো সংশ্লিষ্ট সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রকৌশল অনুষদ হিসেবে পরিচালিত হয়। তবে প্রশাসনিক জটিলতার কারণে শিক্ষাকার্যক্রম বিঘ্নিত হলে, ১৯৭৩ সালে সরকার কয়েকটি কমিশন ও কমিটি গঠন করে।
কমিশন ও কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯৮৬ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি) গঠন করা হয় এবং এই চারটি প্রতিষ্ঠানকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা হয়।
তবে, বিআইটি অধ্যাদেশের সীমাবদ্ধতা এবং স্বায়ত্তশাসনের ঘাটতির কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। এর ফলে, ২০০৩ সালের ১লা সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে একটি বিল পাসের মাধ্যমে চারটি বিআইটিকে পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়।
২০০৩ সালের ১লা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি)-কে বিলুপ্ত করে এবং দেশের চারটি বিআইটি-কে চারটি পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করে।
পূর্বের নাম (বিআইটি) | বর্তমান নাম (বিশ্ববিদ্যালয়) |
---|---|
বিআইটি, রাজশাহী | রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) |
বিআইটি, চট্টগ্রাম | চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) |
বিআইটি, খুলনা | খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) |
বিআইটি, ঢাকা | বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর পূর্ববর্তী অবস্থা |
চারটি বিআইটি তাদের নিজ নিজ ক্যাম্পাসে পরিচালিত হতো, যা বর্তমানে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে পরিণত হয়েছে।
বিআইটির অধীনে বিভিন্ন প্রকৌশল শাখায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পাঠদান পরিচালিত হতো। এটি প্রধানত প্রযুক্তিগত ও গবেষণাভিত্তিক শিক্ষা প্রদান করত।