রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ০৫ থেকে ০৭ মার্চ পর্যন্ত ৩টি ইউনিটে আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটে সর্বোচ্চ ৭২ হাজার ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা চারটি শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ০৮ থেকে ১৭ জানুয়ারী পর্যন্ত ভর্তি-ইচ্ছুকেরা প্রাথমিক আবেদন গ্রহণ করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীদের ২৬ জানুয়ারী থেকে ১১ ফেব্রুয়ারী মধ্যে চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ০৫ থেকে ০৭ মার্চ পর্যন্ত ৩টি ইউনিটে আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটে সর্বোচ্চ ৭২ হাজার ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা চারটি শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ০৮ থেকে ১৭ জানুয়ারী পর্যন্ত ভর্তি-ইচ্ছুকেরা প্রাথমিক আবেদন গ্রহণ করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীদের ২৬ জানুয়ারী থেকে ১১ ফেব্রুয়ারী মধ্যে চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে।
এক নজরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | |
---|---|
প্রতিষ্ঠা : আয়তন : অবস্থান : অনুষদ : বিভাগ : উচ্চতর গবেষণা ইনস্টিটিউট : অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : একাডেমিক ভবন : আবাসিক হল ও ডরমিটরি : শিক্ষক : অফিসার : সহায়ক কর্মচারী : সাধারণ কর্মচারী : ছাত্র-ছাত্রী : টেলিফোন এক্সচেঞ্জ : পোস্ট কোড : | ১৯৫৩ ৩০৩.৮০ হেক্টর মতিহার, থানা মতিহার, রাজশাহী মহানগর ৯টি ৫০টি ৫টি ৩৭টি (সরকারি ১৭টি, বেসরকারি ২০টি), ১১টি, ১৭টি; ১১টি ছাত্র হল, ৫টি ছাত্রী হল ও ১টি গবেষকদের ডরমিটরি। ১,২০০ জন ৬৫৮ জন’ ৮২৩ জন ১,৪৪৬ জন ৩৩ হাজার (প্রায়) (০৭২১) ৭১১০১১, ফ্যাক্স : (০৭২১) ৭৫০০৬৪ রাজশাহী ৬২০৫ |
উত্তর বাংলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে ১৯১৭ সালে গঠিত Calcutta University Commission (যা স্যাডলার কমিশন নামেও পরিচিত) রাজশাহী শহরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে। কিন্তু স্যাডলার কমিশনের সুপারিশ তখন বাস্তবায়িত হয়নি, তবে বাংলা সরকারের নির্দেশে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তার অধিভুক্ত রাজশাহী কলেজে বেশ কয়েকটি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু করার অনুমতি দেয়। ১৯৫২ সালে পূর্ববাংলার মুখ্যমন্ত্রী নূরুল আমিন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হবীবুল্লাহ বাহারকে রাজশাহী কলেজের ছাত্র সংসদ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ঐ অনুষ্ঠানের পর রাজশাহীতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবশ্যকতা বিবেচনা করে নূরুল আমিন সরকার ১৯৫২ সালের নভেম্বর মাসে পূর্ববাংলা ব্যবস্থাপক পরিষদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিল উত্থাপন করেন। ১৯৫৩ সালের ৩১ মার্চ বিলটি The Rajshahi University Act, 1953 (The East Bengal Act XV of 1953) নামে ব্যবস্থাপক পরিষদে পাস করা হয়। ৬ জুন গভর্নর এই বিলে সম্মতি দেন। ১৬ জুন ১৯৫৩ তারিখে অ্যাক্টটি ঢাকা গেজেট এক্সট্রা অর্ডিনারিতে প্রকাশিত হয়। ৬ জুলাই রাজশাহী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডক্টর ইতরাৎ হোসেন জুবেরীকে প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য নিযুক্ত করা হয়। ঐদিন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। ডক্টর জুবেরী এবং মাদার বখ্শ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনার খসড়া প্রণয়ন করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী হলো –
১৮৭৩ সালে | রাজশাহী কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। |
১৯৪৭ সালে | দেশ বিভাগের পর রাজশাহী কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। |
১৯৫০ সালের ১৫ নভেম্বর | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। |
১৯৫২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি | রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সর্বপ্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। |
১৯৫৩ সালের ৩১ মার্চ | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার আইন পাস হয়। |
১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে |
১৯৫৩ সালের ১৭ জুলাই | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাস শুরু হয়। |
১৯৫৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। |
স্নাতক (অনার্স) : বিএ, বিএফএ, বিপিএ, বিএসসি, বিফার্ম, এলএলবি, বিবিএ, বিএসএস,
বিএসসি এজি, বিএসসি ফিশারীজ;
স্নাতক : বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন
ফিজিওথেরাপি, বিএসসি ইন নার্সিং, বিএসসি (পোস্ট বেসিক) নার্সিং/পাবলিক
হেল্থ নার্সিং, বিএসসি ইন মেডিকেল টেকনোলজি (ল্যাবরেটরি/ডেন্টাল);
স্নাতকোত্তর : এমএ, এমএফএ, এমপিএ, এমএসসি, এমফার্ম, এলএলএম, এমবিএ,
এমএসএস, এমএস এজি, এমএস ফিশারীজ, এমপিএস;
বৃত্তিমূলক : এমবিবিএস, বিডিএস, ডিভিএম;
স্নাতকোত্তর (চিকিৎসা) : এমফিল, এমএস, এমডি, এমপিএইচ, ডিপ্লোমা;
উচ্চতর : এমফিল, পিএইচডি;
অন্যান্য : সার্টিফিকেট ইন ল্যাংগুয়েজেস, সিনিয়র সার্টিফিকেট ইন ল্যাংগুয়েজেস, পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন জেনারেল সেরিকালচার; পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন।
কলা অনুষদ (১৯৫৩) : দর্শন (১৯৫৩), ইতিহাস (১৯৫৪), ইংরেজী (১৯৫৪), বাংলা (১৯৫৫), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি (১৯৫৬), ভাষা (১৯৬২), আরবী (১৯৭৮), চারুকলা (১৯৯৪), ইসলামিক স্টাডিজ (১৯৯৫), সঙ্গীত (২০০০), নাট্যকলা (২০০০)।
আইন অনুষদ (১৯৫৩) : আইন (১৯৫৩)।
বিজ্ঞান অনুষদ (১৯৫৬) : গণিত (১৯৫৪), পদার্থবিজ্ঞান (১৯৫৮), রসায়ন (১৯৫৮), পরিসংখ্যান (১৯৬১), প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান (১৯৭৬), ফার্মেসী (১৯৯০), পপুলেশন সায়েন্স এণ্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট (১৯৯৬), ফলিত গণিত (২০০২)।
চিকিৎসা অনুষদ (১৯৫৮) : অধিভুক্ত মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্স।
বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ (১৯৭২) : হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা (১৯৭২), ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ (১৯৭২), মার্কেটিং (১৯৮১), ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিং (১৯৮১), ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স (২০১৪)।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ (১৯৮৫) : অর্থনীতি (১৯৫৪), রাষ্ট্রবিজ্ঞান (১৯৬৩), সমাজকর্ম (১৯৬৪), সমাজবিজ্ঞান (১৯৬৯), গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা (১৯৯২), ইনফরমেশন সায়েন্স এণ্ড লাইব্রেরী ম্যানেজমেন্ট (১৯৯৩), লোক প্রশাসন (১৯৯৩), নৃবিজ্ঞান (১৯৯৮), ফোকলোর (১৯৯৮), আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (২০১৪)।
জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদ (১৯৮৬) : ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা (১৯৫৫), মনোবিজ্ঞান (১৯৫৬), উদ্ভিদবিজ্ঞান (১৯৬৩), প্রাণিবিদ্যা (১৯৭২), ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা (১৯৭৫), জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এণ্ড বায়োটেকনোলজি (১৯৯৬)।
কৃষি অনুষদ (২০০০) : এগ্রোনোমী এণ্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন (২০০০), ফিশারীজ (২০০০), এনিমেল হাজবেন্ড্রি এণ্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স (২০০৪), ক্রপ সায়েন্স এণ্ড টেকনোলজি (২০০৫)।
প্রকৌশল অনুষদ (২০১০) : ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (১৯৬৬), ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল (১৯৬৭), কম্পিউটার সায়েন্স এণ্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (১৯৯৩), ইনফরমেশন এণ্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (২০০০), ম্যাটেরিয়ালস্ সায়েন্স এণ্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (২০০৪)।
ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (১৯৭৪), ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস (১৯৮৯), ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (২০০০), পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট (২০০০), শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (২০০০)।
আবাসিক হলসমূহ ও ডরমিটরি
ছাত্রদের জন্য: শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হল, শাহ মখদুম হল, নবাব আব্দুল লতিফ হল, সৈয়দ আমীর আলী হল, শহীদ শামসুজ্জোহা হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মতিহার হল, মাদার বখ্শ হল, শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল।
ছাত্রীদের জন্য: মন্নুজান হল, রোকেয়া হল, তাপসী রাবেয়া হল, বেগম খালেদা জিয়া হল ও রহমতুন্নেসা হল। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা নামে অপর একটি ছাত্রী হল নির্মাণাধীন।
গবেষকদের জন্য: শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূম ইন্টারন্যাশনাল ডরমিটরি।
ভর্তি তথ্য | |
---|---|
প্রাথমিক আবেদন: প্রাথমিক আবেদন ফি : চূড়ান্ত আবেদন ১ম ধাপের আবেদন: ২য় ধাপের আবেদন: ৩য় ধাপের আবেদন: ৪র্থ ধাপের আবেদন: চূড়ান্ত আবেদন ফি : ভর্তি পরীক্ষা : আবেদনের ঠিকানা : | ০৮ থেকে ১৭ জানুয়ারী ২০২৪ ৫৫ টাকা ২৬ থেকে ২৯ জানুয়ারী ২০২৪ ০১ থেকে ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৬ ও ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইউনিট ভেদে আলাদা ০৫, ০৬ ও ০৭ মার্চ ২০২৪ |
রাজশাহী শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার পূর্বদিকে মতিহারে অবস্থিত বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম এই বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের শুরুতে ১৬১ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে প্রথম ক্লাস শুরু হয় রাজশাহী কলেজেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়৷ পরবর্তীতে ১৯৫৮ সালে অস্ট্রেলিয়ান স্থপতি ড. সোয়ানি টমাসের স্থাপত্য পরিকল্পনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ক্যাম্পাসে দালান-কোঠা ও রাস্তাঘাট নির্মাণ শুরু হয়। ১৯৬৪ সালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম এবং সকল অফিস ও বিভাগ স্থানান্তর করা হয় মতিহারের নিজস্ব ক্যাম্পাসে।
বর্তমানে প্রায় ৭৫৩ একর এলাকাজুড়ে বিস্তীর্ণ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস৷ ক্যাম্পাসের উত্তর পূর্ব দিক জুড়ে রয়েছে ছাত্রদের জন্য ১১টি আবাসিক হল ৷ এছাড়াও ছাত্রীদের জন্য রয়েছে ৬টি আবাসিক হল, যা ক্যাম্পাসের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত৷ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত জুড়ে রয়েছে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক এলাকা এবং পূর্ব দিকে গবেষকদের জন্য রয়েছে একটি ডরমিটরি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ জুড়ে শিক্ষার্থীদের প্রধান আড্ডাস্থল হিসেবে রয়েছে বেশ কিছু বাহারি নামের চত্বর। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের কিছু চত্বরের নাম হলো –
|
|
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি আবেদন করার আগে জানতে হবে রাবি ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন, ভর্তির ইউনিটসমূহ, আসনসংখ্যা, ভর্তির যোগ্যতাসহ ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম সংক্রান্ত অন্যান্য ভর্তি তথ্য।
ভর্তি পরীক্ষা উপকমিটির এক সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, রাবি ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪ তিন ইউনিটের মোট চারটি শিফটে অনুুষ্ঠিত হবে । প্রতিটি ইউনিটে সর্বোচ্চ ৭২ হাজার ভর্তিচ্ছু অংশগ্রহন করতে পারবেন ।
তারিখ | ইউনিট |
০৫ মার্চ ২০২৪ | সি ইউনিট |
০৬ মার্চ ২০২৪ | এ ইউনিট |
০৭ মার্চ ২০২৪ | বি ইউনিট |
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট সংখ্যা কমিয়ে ৩টি করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট সমূহ হলো –
|
|
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা হয়ে থাকে। তিনটি ইউনিটের মোট আসন ৪ হাজার ১৭৩টি। এই প্রতিটি ইউনিটভিত্তিক আসনসংখ্যা হলো –
এ ইউনিট বি ইউনিট সি ইউনিট | ২০১৯ টি ৫৬০ টি ১৫৯৪ টি |
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি শারীরিক প্রতিবন্ধী – বি কে এস পি পোষ্যকোটা মুক্তিযোদ্ধা কোটা | ৫০ টি (প্রতি বিষয়ে সর্বোচ্চ ২ টি) ৫০ টি (প্রতি বিষয়ে সর্বোচ্চ ২ টি) শারীরিক শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিভাগের আসন সংখ্যার ২০% প্রতি বিষয়ের আসন সংখ্যার ৫ % প্রতি বিষয়ের আসন সংখ্যার ৫ % |
অংশ | মানবন্টন | প্রশ্নসংখ্যা |
বাংলা | ৩৫ | ২৮ |
ইংরেজী | ৩৫ | ২৮ |
সাধারণ জ্ঞান | ৩০ | ২৪ |
মোট নম্বর ১০০ | মোট প্রশ্ন ৮০ |
এ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো মূলত বহুনির্বাচনী (MCQ) ধরনের। তবে ইংরেজি বিভাগে লিখিত পরীক্ষা এবং সঙ্গীত; নাট্যকলা; চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র; মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য এবং গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগসমূহে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বাণিজ্য গ্রুপ (MCQ) | অ-বাণিজ্য গ্রুপ (MCQ) | ||
বিষয় | মানবন্টন | বিষয় | মানবন্টন |
ক) বাংলা | ১৫ | ক) বাংলা | ৩০ |
খ) ইংরেজি | ২৫ | খ) ইংরেজি | ৩৫ |
গ) ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা | ৩০ | গ) সাধারণ জ্ঞান | ৩৫ |
ঘ) হিসাববিজ্ঞান | ৩০ |
|
|
সর্বমোট | ১০০ | সর্বমোট | ১০০ |
ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ)-তে ভর্তির জন্য ইংরেজিতে বাণিজ্য গ্রুপের পরীক্ষার্থীদের MCQ পরীক্ষায় মোট ২৫ নম্বর এর ৪০% অর্থাৎ ন্যূনতম ১০ নম্বর এবং অ-বাণিজ্য গ্রুপের পরীক্ষার্থীদের ৩৫ নম্বর এর ৪০% অর্থাৎ ন্যূনতম ১৪ নম্বর পেতে হবে।
বিজ্ঞান শাখার মানবন্টন | ||||
শাখা | বিষয় | প্রশ্নের সংখ্যা | নম্বর | মোট নম্বর |
ক (আবশ্যিক) | পদার্থবিজ্ঞান | ২৫ | ১.২৫ | ৩১.২৫ |
রসায়ন | ২৫ | ৩১.২৫ | ||
আই.সি.টি | ৫ | ৬.২৫ | ||
খ (ইচ্ছিক) | গণিত | ২৫ | ১.২৫ | ৩১.২৫ |
জীববিদ্যা | ২৫ | |||
জীববিদ্যা + গণিত | ১৩ + ১২ | |||
| মোট | ৮০ |
| ১০০ |
অ-বিজ্ঞান শাখার মানবন্টন | ||||
শাখা | বিষয় | প্রশ্নের সংখ্যা | নম্বর | মোট নম্বর |
ক | বাংলা | ২৫ | ১.২৫ | ৩১.২৫ |
খ | ইংরেজি | ২৫ | ১.২৫ | ৩১.২৫ |
গ | সাধারণ জ্ঞান/ভূগোল/মনোবিজ্ঞান | ৩০ | ১.২৫ | ৩৭.৫ |
| মোট | ৮০ |
| ১০০ |
MCQ পরীক্ষার পাশ নম্বর | ৪০ |
ব্যবহারিক পরীক্ষার পাশ নম্বর | ৪০ |
লিখিত পরীক্ষার পাশ নম্বর | ২০ |
প্রতি ৪ টি ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কর্তন | ১ নম্বর |
১০০ নম্বরের MCQ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সময় হবে ৬০ মিনিট, অর্থাৎ ১ ঘন্টা।
পরীক্ষার ধরণ | MCQ |
পরীক্ষার সময় | ১ ঘন্টা |
প্রশ্ন সংখ্যা | ৮০ |
পূর্ণমান | ১০০ |
রাবি স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষে ভর্তির প্রাথমিক আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীদের কিছু আবেদন যোগ্যতা পূরণ করতে হবে নতুবা আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২৩ অনুযায়ী, ২০২১ ও ২০২২ সালের এইচএসসি/সমমান, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বিএফএ (প্রাক), কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভকেশনাল), A লেভেল এবং অন্যান্য সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই কেবল ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে।
A ইউনিট (মানবিক বিভাগ) | মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র A ইউনিট-এ আবেদন করতে পারবে। আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে এসএসসি/ সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ সহ মোট জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে। |
B ইউনিট (বানিজ্য বিভাগ) | বাণিজ্য শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই শুধুমাত্র B ইউনিট-এ আবেদন করতে পারবে। আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে। |
C ইউনিট (বিজ্ঞান বিভাগ) | বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র C ইউনিট-এ আবেদন করতে পারবে। আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে। |
জিসিই O লেভেল পরীক্ষায় ৫টি বিষয়ে এবং A লেভেল পরীক্ষায় অন্ততঃ ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং উভয় লেভেলে মোট ৭টি বিষয়ের মধ্যে ৪টি বিষয়ে কমপক্ষে B গ্রেড এবং ৩টি বিষয়ে কমপক্ষে C গ্রেড পেতে হবে। | |
কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের অধীন কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ হতে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা শিক্ষার্থীরাও সংশ্লিষ্ট ইউনিটে আবেদন করতে পারবে। তবে তাদের প্রাপ্ত জিপিএ ৫.০০ স্কেলে নির্ধারিত হবে। |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মেধাক্রম নির্বাচনের ক্ষেত্রে, MCQ পরীক্ষার ফলাফলের মেধাক্রমের ভিত্তিতে প্রতিটি ইউনিটের আসন সংখ্যার ১০ গুন পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা হয়। সেই পরীক্ষার্থীদের MCQ ও লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যােগফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। চূড়ান্ত ফলাফলের নাম্বারের ভিত্তিতে তৈরি মেধাক্রম অনুযায়ী পরীক্ষার্থীরা ভর্তির সুযােগ পায়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা মূলত দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়।
১) প্রাথমিক সিলেকশন
২) চূড়ান্ত আবেদন
প্রথম ধাপে, শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক আবেদন ফি ৫৫/- টাকা পরিশোধ করে প্রাথমিক সিলেকশনের জন্য আবেদন করে হবে। প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্য থেকে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এ চূড়ান্ত আবেদনকারী নির্ধারণ করা হয়। শুধুমাত্র প্রাথমিক সিলেকশনে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবে।
দ্বিতীয় ধাপে, প্রাথমিক সিলেকশনে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা চূড়ান্ত আবেদন ফি পরিশোধ করে, নিজের বিভাগ অনুযায়ী যে কোনো ইউনিটে চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবে। তবে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায়, উক্ত শিক্ষার্থী চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট admission.ru.ac.bd -এর মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
প্রথমেই সাইন ইন করতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট admission.ru.ac.bd -তে চলে যান। এরপর ডান পাশে ওপরের দিকে “Online Admission” -এ ক্লিক করুন।
“Log in” বাটনে ক্লিক করলে পরবর্তী পেজে পরীক্ষার্থীর SSC/সমমান এবং HSC/সমমান উভয় পরীক্ষার রোল, শিক্ষা বোর্ড ও পাশের বছর প্রদান করতে হবে। সেই সাথে পেজে প্রদত্ত একটি ছবিতে দৃশ্যমান সংখ্যা ও অক্ষর (Captcha) যথাস্থানে ইনপুট দিতে হবে।
সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে “Submit” বাটনে ক্লিক করলে “Student Panel” প্রদর্শিত হবে যেখানে প্রার্থীর যাবতীয় তথ্য ও আবেদনযোগ্য ইউনিটসমূহ দেখা যাবে।
Student Panel-এ এখানে আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর প্রদানের জন্য “Mobile No. Verification” বাটন পাওয়া যাবে। সঠিক মোবাইল নম্বর প্রদানের পর “Submit”-এ ক্লিক করলে প্রদত্ত মোবাইল ফোনে চার ডিজিটের একটি OTP পাঠানো হবে। প্রাপ্ত OTP নম্বরটি নির্ধারিত বক্সে লিখে “Verify OTP” -এ ক্লিক করলে মোবাইল নম্বরটি নিশ্চিত হবে। আবেদন প্রক্রিয়ার শুরুতেই পরীক্ষার্থীর মোবাইল নম্বরটি নিশ্চিত করতে হবে।
মোবাইল নম্বর নিশ্চিত করার পর পরীক্ষার্থীর SSC/সমমান এবং HSC/সমমান পরীক্ষার তথ্যসহ প্রাথমিক আবেদনযোগ্য ইউনিটসমূহের তালিকা প্রদর্শিত হবে। সকল তথ্য সঠিকভাবে মিলিয়ে নিতে হবে। আবেদনকারী যে সকল ইউনিটে প্রাথমিক আবেদন করতে ইচ্ছুক তার পাশে টিক (√) চিহ্ন দিয়ে “Submit”-এ ক্লিক দিতে হবে।
এই ধাপে পরীক্ষার্থীর সদ্য তোলা একটি 300×400 পিক্সেল সাইজের স্পষ্ট (Studio quality) রঙ্গিন JPG ফরমেটের ছবি আপলোড করতে হবে। তবে ছবির ফাইল সাইজ ১০০ কিলোবাইটের বেশি হতে পারবে না।
ছবি আপলোডের পর পরীক্ষার্থীকে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোটার সুবিধা নিতে আগ্রহী হলে তার কোটা/কোটাসমূহ সিলেক্ট করতে হবে। FFQ-এর আবেদনকারীকে অতিরিক্ত দু’টি অপশন (পুত্র/কন্যা, নাতি/নাতনী) – এর একটি অবশ্যই সিলেক্ট করতে হবে। যে কোটায় আবেদন করতে ইচ্ছুক তার পাশে টিক চিহ্ন দিয়ে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের সর্বোচ্চ ২ মেগাবাইট সাইজের স্ক্যান কপি একটি মাত্র JPG/PDF ফাইলের মাধ্যমে আপলোড করতে হবে।
পরবর্তী ধাপে পরীক্ষার্থী ইংরেজি ভাষার প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে চাইলে “হ্যাঁ” এবং বাংলা ভাষার প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে চাইলে “না” সিলেক্ট করে “Submit Preliminary Application” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
প্রাথমিক আবেদনে প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে প্রদানের পর “Next” বাটনে ক্লিকের মাধ্যমে পরবর্তী ধাপে পরীক্ষার্থীর তথ্যাবলী দেখা যাবে। এরপর “Submit Preliminary Application” বাটনে ক্লিক করলে পরীক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় তথ্যাদি এবং ফি এর পরিমাণ ৫৫/- টাকা প্রদর্শিত হবে। ওয়েবসাইটের নিচের দিকে অবস্থিত মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতির মাধ্যমে আনলাইনে ফি প্রদান করা যাবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদনের মতো চূড়ান্ত আবেদন অনলাইনে করতে হবে। অনলাইনে রাবি ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়া কয়েকটি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত আবেদন করতে না পারলে চূড়ান্ত সিলেকশন রেজাল্ট বাতিল বলে গণ্য হবে। এরপর আর ২য় পর্যায়ে আবেদন করার সুযোগ নেই।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার এক বা একাধিক ইউনিটে প্রাথমিক আবেদন ফি ৫৫ টাকা। যারা চূড়ান্ত আবেদনের নির্ধারিত ইউনিটের ফি জমা দিয়ে আবেদন করবে কেবলমাত্র তারাই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। রাবি ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদনের ইউনিটভিত্তিক আবেদন ফি হলো –
ইউনিট | বিভাগ/ইনস্টিটিউট | অনলাইনে চূড়ান্ত আবেদন ফি (১০% সার্ভিস চার্জসহ) |
ইউনিট A (মানবিক): কলা অনুষদ; আইন অনুষদ; সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ; চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট | কলা অনুষদ: (১) দর্শন, (২) ইতিহাস, (৩) ইংরেজি, (৪) বাংলা, (৫) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, (৬) আরবী, (৭) ইসলামিক স্টাডিজ, (৮) নাট্যকলা, (৯) সঙ্গীত, (১০) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য, (১১) সংস্কৃত এবং (১২) উর্দূ বিভাগ আইন অনুষদ: (১) আইন এবং (২) আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগ সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ: (১) অর্থনীতি, (২) রাষ্ট্রবিজ্ঞান, (৩) সমাজকর্ম, (৪) সমাজবিজ্ঞান, (৫) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, (৬) ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরী ম্যানেজমেন্ট, (৭) লোক প্রশাসন, (৮) নৃবিজ্ঞান, (৯) ফোকলোর এবং (১০) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ চারুকলা অনুষদ: (১) চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র, (২) মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য এবং (৩) গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগ ইনস্টিটিউট: শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট | ১২০০ + ১২০ = ১৩২০ টাকা
|
ইউনিট B (বাণিজ্য): বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ এবং ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট | বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ: (১) হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা, (২) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, (৩) মার্কেটিং, (৪) ফাইন্যান্স, (৫) ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স এবং (৬) ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ইনস্টিটিউট: ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট | ১০০০ + ১০০ = ১১০০ টাকা
|
ইউনিট C (বিজ্ঞান): বিজ্ঞান অনুষদ; জীববিজ্ঞান অনুষদ; কৃষি অনুষদ; প্রকৌশল অনুষদ; ভূ-বিজ্ঞান অনুষদ; ফিশারীজ অনুষদ এবং ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ | বিজ্ঞান অনুষদ: (১) গণিত, (২) পদার্থবিজ্ঞান, (৩) রসায়ন, (৪) পরিসংখ্যান, (৫) প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান, (৬) ফার্মেসী, (৭) পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট, (৮) ফলিত গণিত এবং (৯) শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ জীববিজ্ঞান অনুষদ: (১) মনোবিজ্ঞান,(২) উদ্ভিদবিজ্ঞান, (৩) প্রাণিবিদ্যা, (৪) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি, (৫) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান এবং (৬) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ কৃষি অনুষদ: (১) এগ্রোনমী এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন এবং (২) ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগ প্রকৌশল অনুষদ: (১) ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল, (২) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, (৩) ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, (৪) ম্যাটেরিয়াল্স সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং (৫) ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ভূ-বিজ্ঞান অনুষদ: (১) ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা এবং (২) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগ ফিশারীজ অনুষদ: ফিশারীজ বিভাগ ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ: ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগ | ১২০০ + ১২০ = ১৩২০ টাকা |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অবশ্যই নির্ধারিত সময়ে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে। admission.ru.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণেচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। মনোনিত শিক্ষার্থীরা তাদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রোল, সাল এবং বোর্ড লিখে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবে।
প্রতিটি ইউনিটে পরীক্ষার জন্য দুটি প্রবেশপত্র দেওয়া হবে। একটায় লেখা থাকবে University Copy এবং অন্যটিতে Candidate Copy। কারণ ভর্তি পরীক্ষার সময় কক্ষে কর্তব্যরত শিক্ষক অ্যাডমিট কার্ডে সিগনেচার দিয়ে University Copy জমা নিবেন এবং Candidate Copy ফেরত দিবেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর জন্য মোট ১৭ টি হল এবং একটি আন্তর্জাতিক মানের ডটমেটরি আছে। এরমধ্যে ১১ টি ছেলেদের হল এবং ৬টি মেয়েদের হল।
ছেলেদের হল সমূহ | মেয়েদের হল সমূহ, |
|
|
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী,শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চিকিৎসার জন্য একটি চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। চিকিৎসা কেন্দ্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বদিকে বিনোদপুর গেটের কাছে অবস্থিত। এখানে সাধারণ বিভাগ, ইসিজি,চক্ষু,এক্স-রে ,প্যাথলজি ,ডেন্টাল ও পরিবার পরিকল্পনা ইউনিট রয়েছে। ১ জন প্রধান চিকিৎসক সহ সর্বমোট ২৫ জন চিকিৎসক আছেন এই কেন্দ্রে। প্যাথলজি,চক্ষু, অর্থপেডিক ও চর্মরোগ বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। এখানে শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার চিকিৎসা বিনামূল্যে দেয়া হয় এবং বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করা হয়। জরুরী প্রয়োজনে রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য রয়েছে চিকিৎসা কেন্দ্রের নিজস্ব এম্বুলেন্স
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল স্টেডিয়ামটি দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়াম। বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সুইমিং পুলও রয়েছে। এই সুইমিংপুলে নিয়মিত সাঁতার ও ওয়াটার ভলি খেলা হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় খেলাধুলার জন্য বিখ্যাত।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রাকসু ভবনের ঠিক পেছনে ও শহীদ মিনারের উত্তর-পূর্বে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া। এখানে সুলভ মূল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নাস্তা এবং দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা আছে।
আধুনিক শব্দ এবং আলোক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সজ্জিত মিলনায়তন। ভবনটি এর স্থাপত্যকলা ও অত্যাধুনিম ডিজাইনের জন্য বিখ্যাত। এটি মানের দিক দিয়ে কোন পাশ্চাত্য অডিটোরিয়ামের চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। ভবনের দক্ষিণাংশে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অফিস।
১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের সর্বপ্রাচীন সংগ্রহশালা – বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর বঙ্গীয় শিল্পকলার বিপুল ও বর্ণাঢ্য সংগ্রহের জন্য সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত। রাজশাহী শহরে অবস্থিত, বাংলদেশের সুপ্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মারক ১৯৬৪ সাল থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এই জাদুঘরটি পরিচালনা করে আসছে।
সারা বছরজুড়েই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের উৎসব পালন করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো –
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস: ১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। তাই প্রতিবছর ৬ জুলাইয়ের দিনটিকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনটিতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
নববর্ষ উৎসব: প্রতিবছর বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নববর্ষ উৎসব পালন করা হয়। এই উৎসবকে কেন্দ্রা করে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা, পিঠা উৎসব, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ইত্যাদি।
নবান্ন উৎসব: নতুন ধান কাটার উৎসবকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমী এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগ নবান্ন উৎসবের আয়োজন করে। এই উৎসবে এগ্রোনমী গবেষণা মাঠে ধান কাটা, পিঠা উৎসবসহ নবান্ন উপলক্ষে খেলাধুলা, বরণ-বিদায় ও পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ নামে খ্যাত উত্তরবঙ্গের সেরা বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, তাই উচশিক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ এই বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু তাই নয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় সবসময় প্রথম সারিতেই থাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য আরো বেশ কিছু কারণ রয়েছে। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ হলো –
শিক্ষার মান: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষক ও গবেষকরা। তাই শিক্ষার মান ও উচ্চতর গবেষণার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত রাবি।
সুযোগ-সুবিধা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় ও ডিজিটাল ক্যাম্পাস। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। এখানে রয়েছে আধুনিক শিক্ষাঙ্গন, লাইব্রেরি, গবেষণাগার, খেলার মাঠ, আবাসিক হল, ক্যান্টিন ইত্যাদি।
ক্যম্পাস লাইফ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রেলওয়ে স্টেশন ও ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে রাজশাহী শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে একটি মনোরম ও সুন্দর পরিবেশে অবস্থিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। এখানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে। ১৫টি সংগঠন নিয়ে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট।
১) প্রথমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ ভিজিট করুন। ২)সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আপনার নাম, জন্ম তারিখ এবং ইমেল ঠিকানা লিখুন। ৩)পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং আপনার স্বাক্ষর স্ক্যান কপি আপলোড করুন. ৪)আবেদনের ৭২ ঘন্টার মধ্যে আপনার পেমেন্ট সম্পন্ন করুন ৫) আবেদনে ক্লিক করে আবেদনপত্র জমা দিন। ৬)বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিশ্চিতকরণ ইমেলের জন্য অপেক্ষা করুন। ৭)অনলাইন আবেদন ফরম প্রিন্ট আউট করুন, https://admission.ru.ac.bd/ |
শেষ কথা- (তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ)
শিক্ষার্থীদের অবশ্যই উচিত ভর্তি পরীক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া। এজন্য বিগত বছরের এডমিশন প্রশ্নব্যাংক এর উপর সর্বোচ্চ প্র্যাক্টিস থাকা জরুরি। এছাড়াও রাবি, চবি, ঢাবি ও জাবি এর প্রশ্নব্যাংক এবং সাস্টের আগের বছরের প্রশ্ন প্র্যাক্টিস করা উচিত। এরজন্য অন্যতম সেরা একটি মাধ্যম হতে পারে চর্চা অ্যাপ। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক সকল শিক্ষার্থীকে অগ্রীম শুভকামনা জানাই।