রেইনকোট
“কোথা হতে কোন পথে কেমন করে মুক্তিফৌজ আসে, আক্রমণ করে এবং প্রতি
আক্রমণ করলে কোথায় হাওয়া যায়, খান সেনারা তার রহস্য ভেদ করতে পারে
না। কখনও কখনও খতরনাক অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়। হাট-বাজারের
লোকজন, মিল-ফ্যাক্টরির শ্রমিক, দোকানদার, স্কুল মাস্টার, ছাত্র সকলকে
কাতারবন্দি করে বন্দুকের নল উঁচিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে, ‘মুক্তি কিধার হ্যায়
বোলো।’ এক উত্তর, ওরা জানে না।”
'সাবভার্সিভ অ্যাকটিভিটিজ' বলতে কী বোঝায়?
হত্যাকে উৎসব ভেবে যারা পার্কে, মাঠে, ক্যাম্পাসে, বাজারে
বিষাক্ত গ্যাসের মতো মৃত্যুর বীভৎস গন্ধ দিয়েছে ছড়িয়ে,
আমি তো তাদের জন্য অমন সহজ মৃত্যু করি না কামনা।
(তথ্যসূত্র: অভিশাপ দিচ্ছি- শামসুর রাহমান)
'রেইনকোট' গল্পে নুরুল হুদার ঝুলন্ত শরীর কাঁপতে থাকে কেন?
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে একটি ছাত্রাবাস থেকে মিলিটারিরা সাজ্জাদকে তুলে নিয়ে যায়। অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে তারা তার পিতার সন্ধান চায়। ক্ষত-বিক্ষত হয়েও সাজ্জাদ নীরব থাকে। মনে পড়ে বাবার শেষ উপদেশ, "জীবনের চেয়ে দেশ, অনেক বড়।" নিজেকে একজন দেশপ্রেমী মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মনে করায় তার বুক ফুলে ওঠে।