৩।বাংলা ভাষার ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি(৫)
(ক) উদাহরণসহ সর্বনাম পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।
অথবা,
(খ) নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি ক্রিয়া বিশেষণ চিহ্নিত করো:
ইট বসানো রাস্তা দিয়ে করিম বাড়ি ফিরছিল। হঠাৎ দেখতে পেল চলন্ত বাস থেকে যাত্রীরা লাফিয়ে নামছে। হাঁটা-পথের অনেকেই দৃশ্যটি তাকিয়ে দেখল। কয়েকজনের যায়-যায় অবস্থা। কাঁদো- কাঁদো চেহারার মানুষগুলোকে দেখে করিম মনে কষ্ট পেল।
(ক)
উত্তর: বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ বা পদ ব্যবহৃত হয় তাকে সর্বনাম বলে। সর্বনাম বহুলাংশে বিশেষ্যের অনুরূপ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ্যের মতোই কারক ও বচনভেদে তার রূপেও ভিন্নতা দেখা যায়। সর্বনামকে সাধারণত নিম্নলিখিতভাবে শ্রেণিবদ্ধ করা যায়:
ক. ব্যক্তিবাচক সর্বনাম: যে সর্বনাম কোনো ব্যক্তিকে বোঝায় তাকে -ব্যক্তিবাচক সর্বনাম বলে। এ সর্বনাম বাক্যের ব্যাকরণিক পক্ষ বা পুরুষ (বক্তা, শ্রোতা, অন্য-এ তিনটিকে) নির্দেশ করে। যেমন: আমি, তুমি, উনি ইত্যাদি।
খ. আত্মবাচক সর্বনাম: কর্তা নিজেই কোনো কাজ করেছে-এ ভাবটি জোর দিয়ে বোঝানোর জন্য যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয় তাকে আত্মবাচক সর্বনাম বলে। যেমন: আমি নিজে বইটি পড়েছি।
গ. নির্দেশক সর্বনাম: এ ধরনের সর্বনাম বক্তার কাছে থেকে কোনোকিছুর নৈকট্য, দুরত্ব নির্দেশ করে। যেমন: এ, এরা, উনি,
সে ইত্যাদি।
ঘ. অনির্দিষ্ট সর্বনাম: অনির্দিষ্ট কাউকে বা কোনো বস্তুকে বোঝাতে অনির্দিষ্ট সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। যেমন: কেউ বোধ হয় এসেছিল।
ঙ. প্রশ্নবাচক সর্বনাম: প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রশ্ন বোঝানোর জন্য যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয় তাকে প্রশ্নবাচক সর্বনাম বলে। যেমন: এটা কার বই?
চ. সংযোগবাচক সর্বনাম: এ ধরনের সর্বনাম দুটি বাক্যের মধ্যে সংযোগ ঘটায়। যেমন: আমি বলি কি জীবনটা এভাবে ধ্বংস করো না? কলেজে গিয়ে দেখি যে পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে।
ছ. সাপেক্ষ সর্বনাম: পরস্পর নির্ভরশীল যে যুগল সর্বনাম দুটি বাক্যাংশের সংযোগ ঘটায় তাকে সাপেক্ষ সর্বনাম বলে। যেমন: যত চাও তত লও।
জ. ব্যতিহার সর্বনাম: যে সর্বনাম দুপক্ষের সহযোগ বা পারস্পরিক নির্ভরতা বোঝায় তাকে ব্যতিহার সর্বনাম বলে। যেমন; আমরা নিজেরা নিজেরা বাড়িটা মেরামত করে ফেললাম।
ঝ. সাকল্যবাচক সর্বনাম: ব্যক্তি, বস্তু বা ভাবের সমষ্টি বোঝায়। যেমন: সবাই বই পড়ছে।
ঞ. অন্যবাচক সর্বনাম: নিজ ভিন্ন অন্য কোনো অনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন: অন্যে পারলে তুমি পারবে না কেন?
অথবা,
(খ).
উত্তর: i. হঠাৎ, ii. লাফিয়ে, iii. তাকিয়ে, iv. যায় যায় অবস্থা, v. কষ্ট।
(ক) বিশেষণ পদ কাকে বলে? উদাহরণসহ বিশেষণ পদের শ্রেণিবিভাগ দেখাও।
অথবা,
(খ) নিম্নরেখ যেকোনো পাঁচটি শব্দের পদ নির্দেশ কর:
চাকরি করে অন্যায় পয়সায় ধনী হওয়ার লোভ রাখ? তার চেয়ে মুদি দোকানি ভালো। মুদির পয়সা পবিত্র।
অনেক যুবক থাকতে পারে, যারা মনে করে কোনো রকমে একটা চাকরি সংগ্রহ করে সমাজের ভেতর আসন প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই হলো।
চুরির সাহায্যেই হোক অথবা অসৎ উপায় অবলম্বন করেই হোক, ক্ষতি নেই।
(ক) বিশেষ্যপদ কাকে বলে? উদাহরণসহ বিশেষ্যপদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) নিম্নরেখ যেকোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শব্দ নির্দেশ কর:
ⅰ) আজ নয় কাল সে আসবেই।
ii) বাবা রাতে ভাতের বদলে রুটি খান।
iii) লোকটি ধনী কিন্তু কৃপণ।
iv) আমাদের যাত্রা সমুদ্র অভিমুখে।
v) যথা ধর্ম তথা জয়।
vi) মোদের গরব মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা।
ii) শাবাশ! দারুণ খেলেছে আমাদের ছেলেরা।
viii) তিনটি ফুল আর অনেক পাতা।
(ক) উদাহরণসহ সর্বনাম পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি বিশেষণ পদ চিহ্নিত কর:
আজ সাদা মেঘে আকাশ ছেয়ে আছে। হঠাৎ টিপটিপ বৃষ্টি শুরু হল। করিম ভাঙা ছাতা দিয়ে বৃষ্টি ঠেকানোর বৃথা চেষ্টা করছিল। তার বেখেয়ালি মন হালকা বৃষ্টি আর মৃদু হাওয়ায় অস্থির হয়ে উঠল।
(ক) যোজক কাকে বলে? যোজক কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লেখ।
অথবা,
(খ) নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি ক্রিয়া বিশেষণ শনাক্ত কর:-
'বাবা সকালে দ্রুত বেরিয়ে গেছেন। তখন টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছিল। ঘরে বসে একমনে টিভি দেখছিল ছোটবোন। এসময় কেউ টিভিতে গুনগুনিয়ে গান করছিল। হঠাৎ বাবা এসে বললেন, তাঁর চশমাটা চট করে খুঁজে দিতে।