৮.দিনলিপি/প্রতিবেদন-১০
(ক) কোভিড-১৯ মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত তোমার এলাকার জনগণের সাহায্যের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদনপত্র রচনা কর।
অথবা,
(খ) সড়ক দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকারের সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
(ক) উত্তরঃ
২০/১১/২০২৩
বরাবর,
জেলা প্রশাসক
নারায়ণগঞ্জ।
বিষয়: কোভিড-১৯ মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য আবেদন।
জনাব, গত দুই বছর কোভিড-১৯ মহামারীতে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থাকার লোকজন ভীষণভাবে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। লকডাউনে তারা কাজ হারিয়েছে। সঞ্চিত অর্থ থেকে ব্যয় করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করেছে। উৎপাদন কমে গেছে, ফসল নষ্ট হয়েছে। সর্বোপরি তারা আর্থিকভাবে একদম নিঃস্ব হয়ে গেছে। বর্তমানে তারা ঘুরে দাঁড়াতে হিমশিম খাচ্ছে। কুটিরশিল্প, ক্ষুদ্র উদ্যোগ ও কৃষিজীবীদের অবস্থা নাজেহাল হয়ে পড়েছে। ফলে তারা মৌলিক প্রয়োজনও মেটাতে পারছে না। এ অবস্থায় তাদের ঘুরে দাঁড়াতে আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন।
অতএব,
মহোদয়ের নিকট বিনীত প্রার্থনা, উক্ত বিষয়টি বিবেচনা করে বন্দর থানাবাসীদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিনীত নিবেদক-
সুখীমন বেওয়া।
এলাকাবাসীর পক্ষে।
(খ) উত্তরঃ
প্রতিবেদনের প্রকৃতিঃ | তদন্ত প্রতিবেদন |
প্রতিবেদনের শিরোনামঃ | দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি; কারণ ও প্রতিকার |
প্রতিবেদন তৈরির স্থানঃ | তেলিগ্রাম, ফুলবাড়িয়া |
প্রতিবেদন তৈরির সময়ঃ | সকাল ৯টা |
প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানাঃ | নজরুল কবির, তেলিগ্রাম, ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ |
প্রতিবেদন তৈরির তারিখঃ | ১০ জুন, ২০২৩ |
'দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি: কারণ ও প্রতিকার’
অনাকাঙ্ক্ষিত বেদনাবহ ঘটনাই দুর্ঘটনা। বিভিন্ন দুর্ঘটনার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা একটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি দেশে ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে সড়ক দুর্ঘটনা। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে চারজন লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় এবং পঙ্গুত্ব বরণ করে বিশ থেকে ত্রিশ জন লোক। সড়ক দুর্ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক। সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বিভিন্ন বয়স ও পেশার মানুষ। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিদিন আমাদের বুক থেকে কেড়ে নিচ্ছে সবচেয়ে প্রিয় মানুষটিকে। আত্মীয়-স্বজন, মেধাবী লোক, প্রিয় ব্যক্তিত্ব অনেকেই হারিয়ে যাচ্ছেন সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে। এ সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ হচ্ছে সচেতনতার অভাব। আর এ থেকে সৃষ্ট অন্যান্য কারণগুলো হচ্ছে- অসতর্কতা, ড্রাইভারদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো, যান্ত্রিক ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি রাস্তায় নামানো, ধারণ-ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই, ত্রুটিপূর্ণ অপ্রশস্ত রাস্তাঘাট, লাইসেন্সের কারচুপি, অদক্ষ চালক দ্বারা গাড়ি চালানো, গাড়ি চালানোর সময় কথা বলা ও ফোন ব্যবহার করা, নেশা গ্রহণ করে নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়ি চালানো, একটি গাড়ি থেকে অন্য গাড়ির গতি ও প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় না রাখা, ট্রাফিক আইন না মানা ইত্যাদি। অন্যদিকে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় আইন ও শাস্তির বিধান না থাকায় দুর্ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। একটি সড়ক দুর্ঘটনা একটি পরিবারের সারাজীবনের কান্না। বাংলাদেশে এরই মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত ও আন্দোলন গড়ে উঠেছে। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে 'নিরাপদ সড়ক চাই' আন্দোলনে এগিয়ে যাচ্ছে এদেশের চলচ্চিত্র শিল্পী থেকে শুরু করে এদেশের প্রতিটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। তারা বিভিন্ন সময় সরকারকে নানা সুপারিশ করে আসছে। তাই নিরাপদ সড়কের জন্য নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করছি:
১. গাড়িচালকদের কারিগরি দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় শিক্ষার সাথে নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে।
২. ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
৩. ত্রুটিযুক্ত যানবাহন রাস্তায় নামানো বন্ধ করতে হবে।
৪. যানবাহন চলাচল উপযোগী রাস্তা সম্প্রসারণ করতে হবে।
৫. রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ ও পুলিশ প্রশাসনের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
৬. গাড়ির মালিক ও শ্রমিকশ্রেণিকে জবাবদিহিতামূলক আইনের আওতায় আনতে হবে।
৭. দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালাতে বাধ্য করতে হবে।
৯. অতিরিক্ত যাত্রী ও মাল বোঝাই বন্ধ করতে হবে।
১০. শহরে জেব্রা ক্রসিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
১১. শহরে হাঁটার জন্য ফুটপাত খালি করতে হবে এবং ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
১২. স্কুল-কলেজ পর্যায়ে রাস্তায় চলাচলের নিয়ম এবং সড়ক দুর্ঘটনার ভয়াবহতা তুলে ধরে প্রবন্ধ, নাটিকা ইত্যাদি পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ইত্যাদির প্রচারাভিযান চালাতে হবে।
উল্লিখিত সুপারিশসমূহ কার্যকর করলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পাবে। তাই এসব সুপারিশ কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদি গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবেদক,
নজরুল কবির।
প্রেরক, নজরুল কবির তেলিগ্রাম, ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ। | প্রাপক, নির্বাহী প্রকৌশলী সওজ অধিদপ্তর সেগুনবাগিচা, ঢাকা। |
(ক) তোমার কলেজে অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবস উদ্যাপনের একটি দিনলিপি রচনা কর।
অথবা,
(খ) তোমার কলেজে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
(ক) বাংলা নববর্ষ কীভাবে উদ্যাপন করেছ তার ওপর একটি দিনলিপি রচনা করো।
অথবা,
(খ) 'দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি' বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
(ক) তোমার কলেজে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করো।
অথবা,
(খ) জাতি গঠনে নারী সমাজের ভূমিকা সম্পর্কে একটি মঞ্চ ভাষণ তৈরি করো।
(ক) কলেজে প্রথম দিনের অনুভূতি ব্যক্ত করে একটি দিনলিপি লেখ।
অথবা,
(খ) তোমার, কলেজ ছাত্রাবাসের বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।