মায়োসিস ও এর ধাপ
নিচের কোনটি মায়োসিস প্রক্রিয়ার গুরুত্ব নয়?
জীবজগতে মায়োসিসের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, অধিকাংশ জীবের যৌন জনন প্রক্রিয়া এ পদ্ধতি অনুসরণ করে। এর ফলে ভ্রূণ সৃষ্টির মাধ্যমে নতুন জীব জন্মলাভ করে। তবে নিম্নশ্রেণির উদ্ভিদে স্পোর সৃষ্টির মাধ্যমে নতুন উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়।মায়োসিসের গুরুত্ব নিচে উল্লেখ করা হলো।
জননকোষ সৃষ্টি : মায়োসিসের ফলে জননকোষ (গ্যামিট) উৎপন্ন হয়, তাই যৌন জননক্ষম জীবে মায়োসিস না ঘটলে বংশবৃদ্ধি অসম্ভব ।
ক্রোমোসোম সংখ্যা ধ্রুব রাখা : প্রজাতিতে বংশানুক্রমে ক্রোমোসোম সংখ্যা ধ্রুব (constant) রাখা কেবলমাত্র এ প্রক্রিয়ার জন্যই সম্ভব হচ্ছে। হ্যাপ্লয়েড উদ্ভিদে জাইগোটে এবং ডিপ্লয়েড উদ্ভিদে জনন মাতৃকোষে মায়োসিস না ঘটলে পিতা-মাতা হতে সন্তান-সন্ততিতে ক্রমাগতভাবে পুরুষানুক্রমে ক্রোমোসোম সংখ্যা দ্বিগুণ, চারগুণ, আটগুণ, ষোলগুণ—এভাবে বৃদ্ধি পেয়ে জীবজগতে একটি আমূল পরিবর্তন করেই ঘটে যেতো এবং পরিণামে জীবজগৎ ধ্বংস হয়ে যেতো।
প্রজাতির স্বকীয়তা ঠিক রাখা : ক্রোমোসোম সংখ্যা সঠিক রাখার মাধ্যমে বংশানুক্রমে প্রতিটি প্রজাতির স্বকীয়তা রক্ষিত হচ্ছে।
বৈচিত্র্যের সৃষ্টি : যৌন প্রজননসম্পন্ন কোনো দুটি জীবই হুবহু এক রকম হয় না। পৃথিবীর প্রায় সাতশ কোটি মানুষ
একই প্রজাতিভুক্ত হয়েও একজন অন্যজন থেকে ভিন্নতর। মায়োসিস প্রক্রিয়ায় গ্যামিটে ক্রোমোসোমের স্বাধীন বিন্যাস এবং
ক্রসিংওভারের ফলে পৃথিবীতে এ বৈচিত্র্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিব্যক্তি : মায়োসিস আনে বৈচিত্র্য, আর বৈচিত্র্য আনে অভিব্যক্তির ধারা ও প্রবাহ।
জনুঃক্রম : যে সকল জীবের জীবনচক্রে জনুঃক্রম আছে সেখানে মায়োসিস প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে
মেন্ডেলের সূত্র : মেন্ডেলের সূত্রের ব্যাখ্যা দেয়া মায়োসিস ছাড়া সম্ভব নয় ।
মেটাফেজ-১ এর পূর্ববর্তী ধাপের উপপর্যায় হল-
মেটাকাইনেসিস
প্যাকাইটিন
ডিপ্লোটিন
নিচের কোনটি সঠিক?
প্যাকাইটিন উপদশায় ঘটে—
ক্রসিং ওভার ঘটে
প্রতিটি ক্রোমোজমকে সেন্ট্রমিয়ার ব্যতিত অনুদৈর্ঘ্য দুটি ক্রোমাটিড বিভক্ত হতে দেখা যায়
প্রতিটি বাইভালেন্ট দুটি সেন্ট্রোমিয়ার ও চারটি ক্রোমাটিড থাকে
নিম্নোক্ত কোনটি মিয়োসিস বিভাজনের উপাদান নয় ?
কোষ বিভাজনের কোন উপধাপে 'X' আকৃতির Chiasma সৃষ্টি হয়?