সহজাত আচরন(ইনসটিংক্টস)

নিচের কোনটি সমগোত্রীয় পাখির উদাহরণ নয়?

মাজেদা বেগম ম্যাম

শীতের পাখির মাইগ্রেশন বা পরিযান

প্রত্যেক প্রাণীর জন্যই পরিবেশে কিছু না কিছু প্রতিকূল বিষয় থাকে । এসব বিষয় অনেক সময় ঋতুভিত্তিক দেখা

দেয় । ঋতুগতভাবে পরিবর্তনশীল পরিবেশ মোকাবিলায় প্রাণী যে সব কার্যকর পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে তারই একটি হচ্ছে

মাইগ্রেশন (migration) বা পরিযান । প্রাণী তখন অনুকূল পরিবেশের উদ্দেশে যাত্রা করে । প্রকৃত অর্থে পরিযান বলতে

উভয়মুখি চলাচলকে বুঝায় অর্থাৎ স্থায়ী বাসভূমি থেকে নতুন কোনো অনুকূল পরিবেশে যাত্রা এবং সেখানে সাময়িক

বসবাসের পর পুনরায় স্থায়ী বসতিতে প্রত্যাগমন । এরকম যাতায়াত সাধারণত একই পথ অনুসরণ করে বছরের নির্দিষ্ট

সময়ে সংঘটিত হয় । পাখির পরিযান এধরনের । পাখির জগতে পরিযান ব্যাপক বিস্তৃত । প্যালিআর্কটিক অঞ্চলের ৪০

শতাংশ পাখি-প্রজাতি পরিযায়ী । পাখিদের পরিযান বিজ্ঞানীদের কাছে আজও রহস্যাবৃত ঘটনা, তবে যে কয়েকটি সম্ভাব্য

কারণ উল্লিখিত হয়েছে তা হচ্ছে-খাদ্যের স্বল্পতা, শীতের তীব্রতা, পূর্বপুরুষীয় বাসভূমিতে প্রত্যাবর্তন ইত্যাদি ।

স্থানীয় পরিযান সাধারণত কয়েকশ ফুট থেকে ১-২ মাইল পর্যন্ত হয়, যেমন-হিমালয়ান পার্ট্রিজ (একধরনের

তিতির) । অন্যদিকে, আর্কটিক টার্ণ ১১ হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে শীতকালে অ্যান্টার্কটিকার উপকূলে এসে হাজির হয় ।

কিছু পাখি মাটির সামান্য উপর দিয়ে উড়ে গেলেও সুশৃঙ্খল পরিযানের অংশগ্রহণকারী পাখি মাটি থেকে প্রায় ৩ হাজার

থেকে ২০ হাজার ফুট উচ্চকায় আন্দিজ ও হিমালয় পর্বতকেও অতিক্রম করে যায়। পাখিরা সাধারণত একদিনে ৫ - ৬

ঘন্টা উড়বার পর খাদ্য ও পানীয়ের জন্য বিশ্রাম নেয়, কিন্তু গোল্ডেন পোভার পাখির বিরতিহীনভাবে উড়ে ১৪০০ মাইল

দূরবর্তী দক্ষিণ আমেরিকায় পৌঁছার প্রমাণ আছে। পরিযানের সময় পাখিরা সৃশৃঙ্খল রীতি মেনে চলে । প্রথমে বয়স্ক

পাখিরা পরিযায়ী হতে শুরু করে, পরে স্ত্রী ও তরুণরা অনুসরণ করে । ফিরতি অভিযানে তরুণরাই নেতৃত্ব দেয় বলে জানা

গেছে । পরিযানের নিয়ম ও সময় সবসময় ঠিক থাকে । অস্বাভাবিক আবহাওয়ায় কিছুটা ব্যতিক্রম না ঘটলে কিছু প্রজাতির

পরিযান-সময় ও শীতভূমি পরিত্যাগ-সময় বছরের পর বছর প্রায় একই থাকে, দুএকদিন এদিক-ওদিক হতে পারে । তা

ছাড়া, পাখিরা সবসময় একই পথ ধরে পরিযায়ী হয় এবং ঠিক আগের জায়গায় গিয়ে পৌছে ।

সহজাত আচরন(ইনসটিংক্টস) টপিকের ওপরে পরীক্ষা দাও