ভাজক টিস্যু
কাজ অনুযায়ী: শারীরবৃত্তীয়-অঙ্গসংস্থানিক কাজের ভিত্তিতে ভাজক টিস্যুকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়, যথা-
১। প্রোটোডার্ম (Protoderm): এটি অগ্রন্থ ভাজক টিস্যুর সর্ব বাহিরের স্তর। এ স্তরের কোষগুলো অরীয় বিভাজনের মাধ্যমে উদ্ভিদের এপিডার্মিস বা ত্বক গঠন করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এরা পার্শ্বীয় বা প্রান্তীয়ভাবে বিভাজিত হয়ে বহুস্তরী ত্বক গঠন করে।
২। প্রোক্যাম্বিয়াম (Procambium): অগ্রস্থ ভাজক টিস্যুর কিছু দীর্ঘ ও ক্রমশ সূঁচালো কোষ প্রোক্যাম্বিয়াম গঠন করে। দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের কাণ্ডে প্রোক্যাম্বিয়াম গুচ্ছ বলয়াকারে বিন্যস্ত থেকে পরিবহন টিস্যু গঠন করে। একবীজপত্রী উদ্ভিদের কাণ্ডে প্রোক্যাম্বিয়াম গুচ্ছ বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান করে। মূলের কেন্দ্রস্থলে একটিমাত্র প্রোক্যাম্বিয়াম গুচ্ছ থাকে। অনেক উদ্ভিদের কান্ডে প্রোক্যাম্বিয়াম গুচ্ছ ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে পরিচক্র বা পেরিসাইকেল (pericycle) সৃষ্টি করে।
৩। গ্রাউন্ড মেরিস্টেম (Ground meristem): প্রোটোডার্ম ও প্রোক্যাম্বিয়াম ব্যতিত প্রাইমারি ভাজক টিস্যুর বাকী অংশকে গ্রাউন্ড বা ভিত্তি ভাজক টিস্যু বলে। ভাজক টিস্যুর এ অংশ হতে কর্টেক্স, মজ্জারশ্মি ও মজ্জা গঠিত হয়