পড়াশোনা শেষ করে সবিতা এখন গ্রামের একটি সরকারি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। বছর কয়েক আগে শহরের এক ধনী ব্যবসায়ীর ছেলের সাথে তাঁর বিবাহ স্থির হয়। পাত্রপক্ষ বিয়েতে মোটা অঙ্কের যৌতুক দাবি করলে তাঁর আত্মসম্মানে আঘাত লাগে। সবিতা নিজেই যৌতুককে প্রত্যাখ্যান করে বিয়ে না করার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। পিতা-মাতা ও সহকর্মীদের অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি তাঁর চিন্তা-চেতনায় কোনো পরিবর্তন আনেননি। তিনি ছাত্র-ছাত্রীর প্রাণ। মায়ের মতো ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখেন সবাইকে। তিনি বলেন, “দেশকে মাতৃজ্ঞানে সেবা করা, দেশকে ভালোবাসা প্রত্যেকের কর্তব্য।” পরহিতে জীবন উৎসর্গ করাই তার ধর্ম।