মাসি-পিসি
বাপ-মা মরা অভাগী মেয়ে প্রতিমা দরিদ্র কাকা-কাকীর কাছে বড় হয়েছে। দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করে অনেক কষ্টে ভাই-ঝিকে বিয়ে দেন কাকা। অভাগী প্রতিমা শ্বশুরবাড়িতেও সুখের নাগাল পায় না। কারণ তার কাকার কাছ থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য স্বামী-শাশুড়ি প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। এমনকি অন্তঃসত্ত্বা জেনেও তার স্বামী একদিন মারধর করে তাকে অজ্ঞান করে ফেলে। যখন জ্ঞান ফিরে আসে, প্রতিমা কোনোরকমে পালিয়ে কাকা-কাকীর কাছে চলে আসে। ভাইঝি'র এমন পরিস্থিতি বিবেচনা করে কাকা-কাকী সিদ্ধান্ত নেয় অমন শ্বশুরবাড়িতে তাকে পাঠাবে না তারা।
শৈশবে বাবা-মাকে হারিয়ে এক চাচার আশ্রয়ে থাকা আসমার জীবনে ঘটে যায় বাল্যবিবাহ। স্বামীর ঘরে অত্যাচার-নির্যাতন, পরে তালাক। চাচার সহযোগিতা না পেলেও দমে যায়নি সে। টিউশন করে লেখাপড়া চালিয়ে যায় সে। অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় লাভ করে ভালো ফল। আসমা এখন মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্রী।
'মাসি-পিসি' গল্পটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
মাসি-পিসির সমস্ত মন জুড়ে কীসের ভাবনা রয়েছে?
ছলছল চোখে আহাদির দিকে কে তাকিয়েছিল?