মাসি-পিসি
মীনার বাবা হঠাৎ মারা যাওয়ায় তার মা রানু তাকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। সে তার স্বামীর রেখে যাওয়া সামান্য কৃষিজমিতে উৎপন্ন ফসল বিক্রি করে যা আয় করে তাতে মীনার লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারে না। তাই অন্যের বাড়িতে ধান ভানা, মাড়াই দেওয়া, ও গৃহপরিচারিকার কাজ করে মীনার লেখাপড়া ও সংসারের খরচ চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ বাধা হয়ে দাঁড়াল মীনার বয়স। ষোড়শী মীনাকে গ্রাম্য মোড়লের কুদৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য সে তাকে বিয়ে দিল। কিন্তু অর্থলোভী ও স্বার্থান্ধ পরিবারে মীনার ঠাঁই হলো না। সে মায়ের কাছে চলে এলো। শুরু হলো মা-মেয়ের নতুন করে বেঁচে থাকার লড়াই।
মাসি-পিসির সমস্ত মন জুড়ে কীসের ভাবনা রয়েছে?
ছলছল চোখে আহ্লাদির দিকে কে তাকিয়েছিল?
স্বামীহারা তাহেরা বিবির নদী তীরের ছোট্ট বাড়িটা বন্যায় তলিয়ে গেলে আরো অনেকের মতো রাস্তার পাশের বাঁধে নতুন আশ্রয় গড়ে তুলেছে। সরকারি ত্রাণ আর জমানো কিছু টাকা নিয়ে অনিশ্চিত জীবনের প্রহর গুনছে সে। চার ছেলে-মেয়ে নিয়ে জীবন এখন তার কাছে একটা যুদ্ধের মতো। এর মধ্যে দুর্বৃত্তের দল রাতের আঁধারে নিরীহ মানুষের শেষ সম্বলও লুটে নিচ্ছে। তাহেরা জানে এ যুদ্ধে তাকে জিততেই হবে। তাই সে রামদা হাতে প্রহরীর মতো জেগে থাকে।
'মাসি-পিসি' গল্পের বৈচিত্র্যময় দিক হলো-
i. দুর্ভিক্ষের মর্মস্পশী স্মৃতি
ii. প্রকৃতির প্রতি নিবিড়তা
iii. মানবিক জীবনসংগ্রাম
নিচের কোনটি সঠিক?