অপরিচিতা
‘মেয়ের চেয়ে মেয়ের বাপের খবরটাই মামার কাছে গুরুতর'- কেন?
অনুপমের মামা অর্থলোভী। সে ধনীর মেয়ে পছন্দ করে না কেননা তাকে শোষণ করা চলবে না। এজন্য সে এমন একটি ঘরের মেয়ে চায় যাকে শোষণ করা যায় এবং সে অনেক পণ ও নিয়ে আসবে।
অতুলনীয় মাতৃস্নেহের উত্তাপে সন্তানের পরিপুষ্টি, তাহারই আধিক্যে সে অসহায় হইয়া পড়ে। মাতৃস্নেহের প্রাবাল্যে মানুষ আপনাকে হারাইয়া আসল শক্তির মর্যাদা বুঝিতে পারে না। নিয়ত মাতৃষেহের অন্তরালে অবস্থান করিয়া আত্মশক্তির সন্ধান সে পায় না—দুর্বল অসহায় পক্ষীশাবকের মতো চিরদিন স্নেহাতিশয্যে আপনাকে সে একান্ত নির্ভরশীল মনে করে। ক্রমে জননীর পরম সম্পদ সন্তান অলস, ভীরু, দুর্বল ও পরনির্ভরশীল হইয়া মনুষ্যত্ব বিকাশের পথ হইতে দূরে সরিয়া যায়।
ঘরেতে এলো না সে তো মনে তার নিত্য আসা যাওয়া পরনে ঢাকাই শাড়ি, কপালে সিঁদুর।
উদ্দীপকে 'অপরিচিতা' গল্পের যে দিকটি প্রকাশিত হয়েছে-
বেগম রোকেয়া পাঁচ বছর বয়সে একজন মেয়ের কাছে কিছুদিন পড়াশোনার সুযোগ পান, সমাজ ও আত্মীয়স্বজনের ভ্রুকুটিতে কিছুদিন পর তা বন্ধ হয়ে যায়। তবুও তিনি দমে যাননি- বড়ো বোন করিমুন্নেসার সহায়তায় তিনি বাংলা শেখেন এবং বড়ো ভাই ইব্রাহীম সাবেরের সহায়তায় ইংরেজি শেখেন। স্বামী সৈয়দ শাখাওয়াত হোসেন বেগম রোকেয়াকে পারিবারিক অবরোধের বাইরে বের করেন। তাঁর লেখা 'সুলতানার স্বপ্ন' পড়ে শাখাওয়াত হোসেন বলেছিলেন 'একটি ভয়ানক প্রতিশোধ' (A terrible revenge), বুঝেছিলেন এটি নারী মুক্তির বাস্তবায়ন।
'অপরিচিতা' গল্পে নায়কের বয়স কত বলে উল্লেখ আছে?