সিরাজউদ্দৌলা

রতন ও রমন দুই বন্ধু বনের ভিতর দিয়ে যাচ্ছিল। তারা এই মর্মে প্রতিজ্ঞা করে যে, কোনো বিপদ আসলে কেউ কাউকে ছেড়ে পালাবে না। কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর তারা দেখতে পায় একটি ভালুক তাদের দিকে এগিয়ে আসছে। দু'জনই ভীত হয়। রতন হঠাৎ লাফ দিয়ে গাছের উপরে ওঠে। রমন গাছে চড়তে জানে না। তাই মৃত মানুষের মতো মাটিতে শুয়ে পড়ে। হিংস্র ভালুকটি দৌড়ে এসে মাটিতে শুয়ে থাকা রমনের দেহটিকে নিরীক্ষণ করে অবশেষে মৃতদেহ ভেবে চলে যায়। রতন গাছ থেকে নেমে রমনের কাছে গিয়ে ভালুক তার কানে কানে কী বলে পেল তা জানতে চায়। রমন গম্ভীর স্বরে উত্তর দিলো। ভালুকটি বলেছে "বিপদের সময় যারা প্রতিমার কথা ভুলে যায়, অসহায় বন্ধুকে ত্যাগ করে, তারা কখনও ভালো মানুষ হয় না।” রতন লজ্জিত হয়। বিনয় স্বরে বলে, “বন্ধু, বন্ধুত্ব নয়, বুদ্ধি দিয়ে তুমি জিতেছ।” 

BB 23
সিরাজউদ্দৌলা টপিকের ওপরে পরীক্ষা দাও

এখনো না বুঝতে পারলে ডাউটস এ পোস্ট করো

পোস্ট করো

Related question

পলাশির প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হয়েছেন, কারণ-

i. এতে প্রকৃত যুদ্ধ হয়নি, হয়েছে যুদ্ধের অভিনয়

ii. ইংরেজ সৈন্য শক্তিশালী ছিল বলে

iii. বৃষ্টিতে গোলা-বারুদ ভিজে নষ্ট হয়েছিল

নিচের কোনটি সঠিক?

'সিরাজউদ্দৌলা' নাটকে "আমরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছি"- কথাটি কে কাকে বলে?

দুর্গম গিরি কান্তার মরু, দুস্তর পারাপার লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে, যাত্রীরা হুঁশিয়ার। দুলিতেছে তরি, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ, ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিয়ে হাল, আছে কার হিম্মৎ? কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ। এ তুফান ভারি, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরি পার।

জমিদার নন্দলালের মৃত্যুর পর তার একমাত্র উত্তরাধিকারী গোবিন্দলাল জমিদারি পায়। গোবিন্দলাল বয়সে তরুণ ও সরল প্রকৃতির। তার এ সুযোগ নিয়ে তার কাকা শিশির গোবিন্দলালের অমাত্যদের নিয়ে 'ঘরের শত্রু বিভীষণে' পরিণত হয়। গোবিন্দলাল বিষয়টি বুঝতে পারে এবং তার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়।