শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

শিক্ষা বিস্তারে একটি শক্তিশালী উপকরণ কী?

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগ বা ভূমিকা:

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগ/ভূমিকা বর্তমান প্রেক্ষাপটে অধিক গুরুত্ব বহন করে। শিক্ষাক্ষেত্রে ইসিটির উল্লেখযোগ্য প্রয়োগ বা ভূমিকা হলো-

১.দক্ষ জনশক্তি গঠন: শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অসামান্য ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা আইসিটির বহুমুখী ব্যবহার, হার্ডওয়‍্যার ও সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছে।

২.শিক্ষা উপকরণ তৈরি: শিক্ষণ-শিখন কার্যক্রমকে আকর্ষণীয় ও কার্যকর করার এক অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি করেছে আইসিটি। আইসিটি ব্যবহার করে ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ প্রস্তুত করা যায়, যা গতানুগতিক শিক্ষা উপকরণের চেয়ে যথেষ্ঠ কার্যকর। শিক্ষকগণ ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করে সফলভাবে ক্লাসে পাঠদান করতে পারেন।

৩.আকর্ষণীয় পাঠদান: আইসিটির ব্যবহার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠকে শিক্ষার্থীদের কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য করে তোলে। আমাদের দেশে এখন মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু হয়েছে। ফলে ছবি, অডিও, ভিডিও, অ্যানিমেশন প্রভৃতি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার বিষয়বস্তুকে অধিক আকর্ষণীয় ও সহজবোধ্য করে উপস্থাপন করা যায়।

৪.তথ্য সংগ্রহ: শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ঘরে বসেই আহরণ করা যায় এবং বিভিন্ন লাইব্রেরির বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করা যায়।

৫. ফলাফল মূল্যায়ন: আইসিটি ব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থীর ফলাফল মূল্যায়ন ও প্রকাশ সহজ হয়। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর ফলাফল নির্ণয় ও প্রকাশে আইসিটি ব্যবহার হচ্ছে।

৬. তথ্য ব্যবস্থাপনা: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় (ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য, ফলাফল, সার্টিফিকেট দেওয়া ইত্যাদি) আইসিটি ব্যবহার হয়। ফলে অতীত ও বর্তমান শিক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় তথ্য খুব সহজেই খুঁজে বের করা যায়।

৭. লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনা: লাইব্রেরির যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় আইসিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। আইসিটি ব্যবহারের ফলে অতি দ্রুত যেকোনো বই সংগ্রহ করা যায়।

৮. গবেষণা ক্ষেত্র: গবেষণার জন্য অনেক বই-পুস্তক, জার্নাল ও ডেটা সংগ্রহের প্রয়োজন হয়, যা ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই খুঁজে বের করা যায়।

৯. শিক্ষকদের পেশাদারি দক্ষতা বৃদ্ধি: পাঠ্যক্রম তৈরি, শিক্ষাদানের তথ্য সংগ্রহ, শিক্ষাদানে বিভিন্ন মাধ্যমের ব্যবহার, ফলাফল তৈরি ও প্রকাশ, শিক্ষকদের পারস্পরিক যোগাযোগ ও মতামত শেয়ার করা, অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করা ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষকদের পেশাদারি দক্ষতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়।

শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি টপিকের ওপরে পরীক্ষা দাও