সিরাজউদ্দৌলা
সিংহজানী পরগণার এক প্রতাপশালী জমিদারের নাম সিংহ নারায়ণ রায়। প্রজাবাৎসল্য তার চরিত্রের অন্যতম দিক। প্রজাদের সুখের জন্য তিনি দিঘি খনন, রাস্তাঘাট নির্মাণ, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা, খাদ্যাভাব মোকাবেলায় খাদ্য মজুদসহ নানা রকম জনহিতকর কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। তার জমিদারির অন্যতম সদস্য ছিলেন একমাত্র ভগ্নিপতি সমর সমাদ্দর। তিনি তাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন এবং বিশ্বাস করতেন। এই বিশ্বাসের সুযোগে সমর সমাদ্দার আত্মস্বার্থ চরিতার্থে ব্যস্ত থাকত। তার কৃত কর্ম অনেকবার ধরা পড়লেও জমিদার ঔদার্যবশত তাকে ক্ষমা করে দিতেন। এক বছর খাজনা পরিশোধের জন্য সমরকে দায়িত্ব দিলে সে সমস্ত
অর্থ নিয়ে আত্মগোপন করে। সূর্যাস্ত আইনে জমিদারির পতন ঘটে।
জমিদার নন্দলালের মৃত্যুর পর তার একমাত্র উত্তরাধিকারী গোবিন্দলাল জমিদারি পায়। গোবিন্দলাল বয়সে তরুণ ও সরল প্রকৃতির। তার এ সুযোগ নিয়ে তার কাকা শিশির গোবিন্দলালের অমাত্যদের নিয়ে 'ঘরের শত্রু বিভীষণে' পরিণত হয়। গোবিন্দলাল বিষয়টি বুঝতে পারে এবং তার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ ছিলেন। পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন করার কারণে তাঁকে জীবনের অনেক সময় কারাগারে থাকতে হয়েছে। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের বদৌলতে বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরী?
এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে
সেতারা, হেলাল এখনো ওঠেনি জেগে
তুমি মাস্কুলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;
অসীম কুয়াশা জাগে শূন্যতা ঘেরি।
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরী?
দীঘল রাতের শ্রান্তসফর শেষে
কোন দরিয়ার কালো দিগন্তে,
আমরা পড়েছি এসে?
পাঞ্জেরী- ফররুখ আহমদ।
'সিরাজউদ্দৌলা' নাটকে প্রথম অঙ্কের প্রথম দৃশ্যের স্থান কোনটি?