সেই অস্ত্র
যে অস্ত্র উত্তোলিত হলে
ফসলের মাঠে আগুন জ্বলবে না
খাঁ খাঁ করবে না গৃহস্থালি ।
সেই অস্ত্র আমাকে ফিরিয়ে দাও
“আমরা হিরোসিমা-নাগাসাকির ব্যথিত আত্মা আমরা শান্তি চাই আমরা ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদ আমরা শান্তি চাই ।”
উদ্দীপকের কোন কোন অনুষঙ্গ ‘সেই অস্ত্র’ কবিতায় ব্যবহৃত হয়েছে?
কবির কাঙ্ক্ষিত অস্ত্র উত্তোলিত হলে নদী কেমন হবে?
ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে দেবীর পূজায় পশু বলিদান বহু বৎসরের চিরাচরিত প্রথা। ভিখারিনী বালিকা অর্পণা প্রথম এ প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। তার স্নেহের পুত্তলি ছাগশিশুকে মায়ের পায়ে বলি দেয়ার উদ্দেশ্যে ধরে আনলে বালিকা করুণাবিগলিত চিত্তে রাজার কাছে পশুবলির প্রতিবাদ জানায়। রাজা গোবিন্দমাণিক্য সেই দিনই মন্দিরে মায়ের পূজায় জীব বলির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এতে ব্রাহ্মণত্ব তথা মন্দিরের প্রভুত্ব হারানোর ভয়ে পুরোহিত রঘুপতি ক্রোধান্বিত হয়ে পড়ে। 'দেবী রাজরক্ত চায়' এই বলে রাজা গোবিন্দমাণিক্যকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে, প্রস্তর প্রতিমার মুখ ফিরিয়ে দেয়। শেষপর্যন্ত রাজা গোমিন্দমাণিক্যের প্রেমশক্তির কাছে রঘুপতিকে হার মানতে হয়। কারণ বিশ্বমাতার পূজা প্রেম দ্বারাই হয়। (সূত্র: বিসর্জন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
প্রাচীনকালে কোনো এক রাজ্যে নাকি মানুষ গাছপালা কেটে উজাড় করে দিত। রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা মানুষের এ ধরনের অবিবেচনা-প্রসূত নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সবুজ নিধনের এই ভয়ঙ্কর বাজে অভ্যাস বন্ধে তখন দেশে এক কঠোর আইন প্রণীত হয়। এ আইন ব্যক্তিগত গাছসহ যেকোনো ধরনের গাছপালা কাটার ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। বর্তমান সময়ে পরিবেশ সুরক্ষার লক্ষ্যে সবুজ বৃক্ষরাজি সংরক্ষণের আন্দোলন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু, মানুষের গাছপালা নিধনের প্রবণতা এখনো রয়েই গেছে।