ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
সেই দুপুরে পিচঢালা পথ রক্তে হলো লাল বর্ণমালা রঙিন হলো সাক্ষী রবে কাল। বলতে পারো কাদের জন্য ভাষা পেলাম শেষে কাদের জন্য কাব্য লিখি স্বপ্নমাখা দেশে?
চরণগুলো 'ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯' কবিতার কোন ভাবকে ধারণ করেছে?
• এই চরণগুলো 'ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯' কবিতায় ভাষা আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তার প্রেক্ষাপটকে নির্দেশ করে। "পিচঢালা পথ রক্তে হলো লাল" এবং "বর্ণমালা রঙিন হলো" এর মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের সংগ্রামী মুহূর্ত এবং মাতৃভাষা রক্ষার জন্য শহীদদের আত্মদানকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। "কাদের জন্য ভাষা পেলাম শেষে" এবং "কাদের জন্য কাব্য লিখি" এর মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব এবং তার ফলস্বরূপ পাওয়া স্বাধীনতা ও অধিকারকে তুলে ধরা হয়েছে।
'চতুর্দিকে' মানবিক বাগান, কমলবন হচ্ছে তছনছ'- পঙ্ক্তিটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে-
i. শাসকের অত্যাচার
ii. স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব
iii. অত্যন্ত নিষ্ঠুরতা
নিচের কোনটি সঠিক?
'এ রঙের বিপরীত আছে অন্য রং'- এখানে যে রঙের কথা বলা হয়েছে তা হল-
'ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯' কবিতায় কে শূন্যে ফ্লাগ তোলে?
মনে পড়ে বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি,
লাখো বাঙালির কাতর চিত্তে করুণ আহাজারি,
একুশ তুমি বাংলার মানুষের হৃদয়ভরা আশা,
তোমার কারণে পেয়েছি আজ কাঙ্ক্ষিত মাতৃভাষা,
রক্ত ঝরাল, সালাম, বরকত, রফিক, শফিক জব্বার,
বায়ান্নর সেই করুণ কাহিনি মনে পড়ে বরাবর,
স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে সে বিষণ্ণ দিনের কথা..
যত ভাবি ততই যেন মনে পাই বড়ো ব্যথা।