স্থিতিস্থাপকতা
স্থিতিস্থাপকতা সম্পর্কে বলা হয়, ইহা-
তাপমাত্রার সাথে পরিবর্তন হয়
ভেজালের উপস্থিতিতে পরিবর্তন হয়
পদার্থের আকৃতির উপর নির্ভর করে
নিচের কোনটি সঠিক?
বিখ্যাত বিজ্ঞানী রবার্ট হুক পীড়ন ও বিকৃতির মধ্যে একটট নিবিড় সম্পর্ক লক্ষ করেন। এই সম্পর্ককে তিনি 1678 খ্রিস্টাব্দে একটি সূত্রের আকারে প্রকাশ করেন। এর নাম হুকের সূত্র। সূত্রটি নিচে বিবৃত হলো :
"স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে বস্তুর ওপর প্রযুক্ত পীড়ন তার বিকৃতির সমানুপাতিক।" গাণিতিকভাবে লেখা যায়, পীড়ন বিকৃতি।
বা, পীড়ন = ধ্রুবক বিকৃতি
বা ধ্রুবক (constant)
এই ধ্রুবককে বলা হয় স্থিতিস্থাপকতা গুণাঙ্ক। স্থিতিস্থাপকতা গুণাঙ্ক প্রতিটি বস্তুর ক্ষেত্রে আলাদা।
একটি ধাতব তারে 10 kg ভর ঝুলানোর ফলে এর দৈর্ঘ্য দ্বিগুণ ও ব্যাস তিন-চতুর্থাংশ হয় ।
2 mm² প্রস্থচ্ছেদের একটি তারে 15 kg ভর ঝুলানো আছে। ভর ঝুলানো অবস্থায় তারটির দৈর্ঘ্য 4 m তারটির উপাদানের ইয়ং-এর গুণাঙ্ক 1.3 × 10Nm¯²। ভর সরিয়ে নিলে তারটি সংকোচিত হয়।
একটি ইস্পাতের তারের দৈর্ঘ্য 2 m এবং ব্যাস 1 mm। তারটির উপর বল প্রয়োগ করার ফলে এর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়।
ইস্পাত তারের ইয়ং এর গুণাঙ্ক ।
একটি রড শতকরা 2 ভাগ বিকৃতিতে ভেঙ্গে যায়। 104 N বল সহ্য করতে হলে রডের ন্যূনতম প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল কত হতে হবে? (Y = 7 x 109 Nm-2)