1. অধ্যাপক আব্দুস সালাম অবসরকালীন জীবন স্বাচ্ছন্দে কাটানোর লক্ষ্যে একটি প্রিন্টিং প্রেস স্থাপন করেন। প্রেসে তিনি অত্যাধুনিক মেশিন স্থাপন করেন, যার মাধ্যমে তিনি প্রতিদিন ১৫০০টি পুস্তক ছাপাতে পারেন। কিন্তু তিনি মেশিনটি ব্যবহার করে প্রতিদিন গড়ে ১২০০ টি পুস্তক ছাপাচ্ছেন। তিনি এ পরিমাণ উৎপাদনেই খুশি।
2. বিদেশে চাকরি শেষে আগত অভিজ্ঞ লোক বাদশা মিয়া দশ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে আশুলিয়ায় 'ঝিলিক ফ্যাশন' নামে একটি তৈরি পোশাক শিল্প স্থাপন করেন। তার শিল্পে ৯০ জন শ্রমিক কাজ করে। বাদশা মিয়ার কারখানায় তৈরি পোশাক নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট দোকানগুলোতে পৌছে দেওয়া হয়। মানসম্মত পোশাক হওয়ায় এবং অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে বিক্রি করতে পারায় তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে ব্যবসায় সফলতা অর্জনে সক্ষম হন।
3. কেরানীগঞ্জে বরিশাল শিপ বিল্ডার্স কারখানা অবস্থিত। নির্মাণ শ্রমিক-কর্মীরা জাহাজ নির্মাণ স্থানের পাশেই অস্থায়ী শেডে অবস্থান করে। অন্য পাশে নির্মাণসামগ্রী রাখার শেড। ওয়েন্ডিং মেশিন, গ্যাস সিলিন্ডার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কাছাকাছি একটি শেডে রাখে। বিদ্যুৎ সংযোগ লাইনটি খোলা সাইডে নিরাপদ স্থান দিয়ে নেওয়া হয়েছে। ডকে নির্মাণকাজে যেকোনো মালামাল সরবরাহ করতে কোনো অসুবিধা হয় না।
4. আমাদের দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম একটি খাত হলো মৎস্য চাষ। বর্তমানে কৃত্রিম উপায়ে ইলিশ উৎপাদনের চেষ্টাও করা হচ্ছে। অন্যান্য মাছ চাষের মতো সহজ না হলেও অবশেষে মৎস্য বিভাগ ইলিশের নিষিক্ত রেণুও সংগ্রহ করে খাঁচায় লালন-পালন করে উৎপাদন শুরু করেছে, যা মৌসুম ছাড়াও বাজারজাত করা যাবে।
5. ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান দুলাল বিবিএ পাস করার পর থেকে শিল্পপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখে। এমবিএ সমাপ্ত করেই তিনি শু তৈরির একটি কারখানা স্থাপন করে আকর্ষণীয় বেতনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫০ জন দক্ষ শ্রমিক সংগ্রহ করেন। উৎপাদনের মাত্রা বাড়ানোর লক্ষ্যে তিনি আরো ২২৫ জন শ্রমিক নিয়োগ করে এক মাসের কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাদেরকে উৎপাদন বিভাগের কাজে নিযুক্ত করেন। প্রশিক্ষকদের বেতন ও শ্রমিকদের বেতন ভাতাদি এবং অন্যান্য খরচ বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয় হলেও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমিকগণ দক্ষতার সাথে কাজ করতে সক্ষম হয়। ফলশ্রুতিতে মি. দুলালের কারখানা উৎপাদিত শু ক্রেতাদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়।