1.
মি. চৌধুরী একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার পাওনাদারের নিকট হতে ৫০,০০০ টাকার একটি চেক পান। চেকটির উপরিভাগে বাম কোণে অঙ্কিত আড়াআড়ি দুটি সমান্তরাল রেখার মাঝখানে 'হস্তান্তরযোগ্য নহে' কথাটি লেখা ছিল। চেকটি যথাসময়ে ব্যাংকে উপস্থাপন করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সরাসরি চেকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে টাকা উত্তোলনে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মি. চৌধুরীকে একটি সহজ উপায় বলে দেন।।
2.
সুরমা ব্যাংক লি. তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীদের সর্বাধিক ঋণ দেয়। এ বছর করোনার কারণে ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো ব্যবসায় করতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং অনেকে 'ব্যবসায় গুটিয়ে নিয়েছে। ফলে ব্যাংকের ঋণের টাকা ঠিকমতো আদায় হচ্ছে না। অপরদিকে আমানতকারিগণ তাদের জমাকৃত টাকা ফৈরত নেওয়ার জন্য ব্যাংকে তাগাদা দিচ্ছে ।
3.
মি. মওলা চাকরির পাশাপাশি একজন শেয়ার ব্যবসায়ী। সেই সুবাদে তিনি আইসিবি থেকে লভ্যাংশ বাবদ একটি চেক পান যেখানে লিখা ছিল 'মি. মওলাকে' ৫০০০ টাকা প্রদান করুন। মি. মওলা অফিসের দারোয়ানকে চেকের টাকা তুলতে ব্যাংকে পাঠালে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যাংক আইনের দোহাই দিয়ে টাকা প্রদানে অস্বীকৃতি জানায় এবং চেকের উল্টো পিঠে একটি স্বাক্ষর আনতে বলে
4.
মি. কায়েস তার বাবার নামে রেজিস্ট্রিকৃত দুই তলা একটি বাড়িতে থাকেন। ভূমিকম্প হলে বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এই কথা চিন্তা করে মি. কায়েস বাড়িটি বিমা করতে গেলে বিমা কোম্পানি বাড়িটি বিমা করতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে মি. কায়েসের বাবা নিজেই বাড়িটি বিমা করেন। পরবর্তীতে মি. কায়েস বিমা কোম্পানিকে না জানিয়ে বাড়ির তৃতীয় তলার কাজ শুরু করেন। এতে বাড়িটি একদিকে হেলে পড়ে এবং মি. কায়েসের বাবা বিমাদাবি করলে =1 বিমা কোম্পানি বিমাদাবি পূরণে অস্বীকৃতি জানায় ।
5.
লিখন ও লিটন সম্প্রতি বিআইবিএম (BIBM) থেকে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তাদের লক্ষ্য ভালো কোনো ব্যাংকে চাকরি করা। সেই লক্ষ্যে লিখন রাজশাহীর 1 একটি ব্যাংকে শিক্ষানবিশ অফিসার পদে যোগদান করেন। লিখনের ব্যাংকটি শুধুমাত্র কৃষি উন্নয়নে কাজ করে। অপরদিকে লিটনও একটি নামকরা ব্যাংকে যোগদান করেন। ব্যাংকটি একটি কেন্দ্রীয় অফিস দ্বারা পরিচালিত হয়। ব্যাংকটির প্রধান কাজ আমানত সংগ্ৰহ, ঋণদান ও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে সহায়তা করা।