1. স্বাধীনচেতা বেকার যুবক জনাব রক্তিম বিশ হাজার টাকা ধার করে মোট ষাট হাজার টাকার পণ্যসামগ্রী ক্রয় করে মনিহারি দোকান সাজিয়ে ব্যবসায় শুরু করেন। স্বল্প পুঁজির কারণে তার দোকানে পর্যাপ্ত পণ্যসামগ্রী নেই। ফলে তিনি প্রায়ই ক্রেতার চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হন। এতে তিনি ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়েন। এমতাবস্থায় কয়েকজন নিয়মিত ক্রেতার পরামর্শে তিনি যেসব পণ্য সরবরাহ করতে পারেন না, তার একটি তালিকা প্রস্তুত করেন। পরবর্তীতে ঐসব পণ্য দোকানে রাখেন। কিছুদিনের মধ্যেই বিক্রয় বৃদ্ধি পায় এবং ক্রমাগত তিনি ব্যবসায় এ সফলতা লাভ করেন।
2. সমির হাসান যন্ত্রপাতির অপর্যাপ্ততা সত্ত্বেও এলাকার কিছু শিক্ষিত বেকার ছেলেদের নিয়ে একটি জৈব সার কারখানা গড়ে তোলেন। একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সহায়তায় তার ব্যবসায় সফলতা আসে। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকার কারণে তার প্রতিষ্ঠানে তৈরি মালামাল সঠিক সময়ে ডিলারদের কাছে সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে তিনি ব্যবসায়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।
3. মধ্যস্থ ব্যবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ২০১৫ সালের কাশিমপুরের ২৫ জন তাঁত শিল্পী মিলে সমান সংখ্যক শেয়ার কেনার মাধ্যমে একটি নিবন্ধিত সমবায় সমিতি গঠন করল। ২০১৭ সাল পর্যন্ত তাদের অর্জিত মুনাফার নিম্নরূপ :
বছর |
২০১৫ |
২০১৬ |
২০১৭ |
মুনাফা |
৮৫,০০০ |
৮০,০০০ |
৯৫,০০০ |
4. রাহুল তার তিনজন বন্ধুসহ চারজন মিলে সমঝোতার ভিত্তিতে একটি ব্যবসা শুরু করেন। তাদের ব্যবসার সফলতার উদ্বৃত্ত ধরে জসিম তার দুইজন সহযোগীকে নিয়ে শুধুমাত্র নিবন্ধন পত্র সংগ্রহ করে চিরন্তন অস্তিত্বসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। দুইজন পরিচালক কে নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে মূলধন ও মুনাফা উভয় বৃদ্ধি পায়, আস্তে আস্তে ব্যবসা সুনাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
5. জসিম ১২ মাস ফলের ব্যবসায় করেন। উৎপাদকের কাছ থেকে সে অপরিপক্ক আম কম দামে কিনে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ফল পাকায়। এরপর তা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করেন। এসব ফল কিনে অজান্তে ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব হচ্ছে এ বিষয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।