1. আলিনগর গ্রামের গনি মিয়ার ডেইরী ফার্মের একটি দেশি গাভী ডাকে আসার পর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে একটি উন্নত জাতের ষাঁড় দ্বারা প্রজনন ক্রিয়া সম্পন্ন করেন। যথাসময়ে প্রজননকৃত গাভীটি একটি স্বাস্থ্যবান বকনা বাছুর জন্ম দিল। বাছুরটি দেখতে সুন্দর ও দৈহিক গড়ন দেশি বাছুরের চেয়ে বড়। কয়েক বছর পর এই বকনা বাছুরটি বড় হয়ে গাভী হলো এবং অনেক বেশি পরিমাণে দুধ দিতে শুরু করলো। খামার থেকে গনি মিয়ার আয় বৃদ্ধি পেল। গনি মিয়ার সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁর প্রতিবেশীরাও এ ধরনের গাভী পালনে আগ্রহী হলো ।
2. রেজা সাহেব শহরে চাকুরি করেন কিন্তু তিনি একজন পরোক্ষ কৃষক। তার জমির মাটি ফসল উৎপাদনের জন্য আদর্শ (মাটির বুনট, পিএইচ মান সবই সঠিক মাত্রায় রয়েছে)। কিন্তু প্রচুর বৃষ্টিপাত, নিচু আইলসহ নানা কারণে রেজা সাহেবের জমির মাটি ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। বর্ষা আসার আগেই সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে আইল উঁচু করাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছেন।
3. যে কোনো দেশের জন্য কৃষি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষির মাধ্যমেই মানুষ তার মৌলিক চাহিদা পূরণের উপকরণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পেয়ে থাকে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, ডিজিটাল সেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের বাংলাদেশের রয়েছে আবাদি জমি, জলাশয়, জনসম্পদ। একমুখী ফসলী কৃষি নয় প্রয়োজন সমন্বিত কৃষি কার্যক্রম।
4. শফিকের কয়েক বিঘা জমি আছে। তার জমিতে ভালো ফসল ফলানোর জন্য সে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নেয়ার জন্য তাঁর অফিসে যান। কৃষি কর্মকর্তা শফিককে মাঝে মাঝে মাটির অম্লমান পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন এবং ফসলের ফলন বৃদ্ধিতে মাটি সংশোধনের গুরুত্ব বুঝিয়ে বলেন। শফিক মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ও ইন্সটিটিউটে মাটি পরীক্ষা করানোর পর দেখেন তার জমির মাটির অম্লমান ৫ ।
5. পরিমল জ্যেষ্ঠ মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় তাঁর মামার বাড়িতে বেড়াতে যায়। সে লক্ষ করলো এলাকার প্রতিটি আম বাগানে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদিত আম খামারিরা ব্যক্তি পর্যায়ে বিক্রয় করেছেন। এরপরও যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে অবিক্রিত আম পচে করেছেন ও দেশের প্রতিষ্ঠিত ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় প্রেরণ নষ্ট হচ্ছে । তাঁর এলাকার শাকসবজির চাষও বেশ ভালো হয়। ঐ এলাকায় উৎপাদিত ফল ও শাকসবজি সংরক্ষণাগার থাকলে কৃষকরা আরো বেশি লাভবান হতো ।