2. রসুলপুর গ্রামের করিম শেখ বিশাল ভূসম্পত্তির মালিক। তিনি অনেক জমি বর্গা দেন, আবার কিছু জমি ক্ষেতমজুর দিয়ে চাষ করান। সচ্ছল ব্যক্তি করিম শেখের গ্রামে যথেষ্ট প্রভাব-প্রতিপত্তি। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা জামালের প্রভাব-প্রতিপত্তিও কম নয়। করিম শেখকে কয়েকবার জমি সংক্রান্ত বিবাদ মীমাংসার জন্য জামালের কাছে যেতে হয়েছে। এদিকে গ্রামের উচ্চশিক্ষিত তরুণ সমাজকর্মী মাজেদ সম্প্রতি বিপুল ভোটে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে।
3. গ্রামীণ সচ্ছল কৃষক রতন মিয়া তার তিন ছেলে, বড় দুই ছেলের বউ ও নাতি-নাতনী নিয়ে বেশ আনন্দেই ছিলেন। কয়েক বছর পর বড় ছেলে একটি পোশাকশিল্পে এবং মেজো ছেলে একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরি পেয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ শহরে পাড়ি জমায়। ছোট ছেলে মামুন ছোট-খাটো ব্যবসা করে। ব্যবসার প্রয়োজনে প্রায়ই তাকে শহরে যেতে হয়। কিছুদিন আগে বিয়ে করে নতুন বউ নিয়ে সে শহরে গিয়ে বসবাস শুরু করে।
4. শ্যামলপুর ও কমলগঞ্জ একটি রাষ্ট্রের দুটি অঞ্চল। দুটি অঞ্চলের সকল অধিবাসী মুসলিম হলেও তাদের জীবনধারায় পার্থক্য সুস্পষ্ট। শ্যামলপুরে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে যে অর্থ উপার্জিত হয় তার সবটাই কমলগঞ্জের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যয় হয়। এমনকি ব্যাংক-বিমাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ কমলগঞ্জে গড়ে উঠে। চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কমলগঞ্জের মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় শ্যামলপুরে বঞ্চিত জনগোষ্ঠী একসময় বিক্ষুব্ধ হয়ে স্বাধিকারের দাবি জানায়।
5. রুনা স্থানীয় স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। বান্ধবীদের সাথে পায়ে হেঁটে স্কুলে যায়। যাওয়া-আসার পথে এলাকার কিছু বখাটে তরুণ। প্রায়শ তাদের পিছু নেয় এবং নানা রকমের মন্তব্য করে। বুনার এক বান্ধবী এ ধরনের পরিস্থিতিতে লেখাপড়া বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু রুনা তার অন্য বান্ধবী ও স্কুলের সহপাঠীদের নিয়ে এলাকার মুরুব্বিদের সাথে যোগাযোগ করে এবং বখাটেদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বখাটেরা বাধ্য হয় এলাকা ছেড়ে পালাতে।