1.
দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহকে কৃষি এবং বিভিন্ন কর্মসংস্থানমূলক ক্ষেত্রে অধিক ঋণ দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে। কিন্তু কিছুসংখ্যক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নির্দেশ অমান্য করে লাভজনক খাতে ঋণ দেওয়ার প্রবণতা বজায় রাখে। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক অমান্যকারী ব্যাংকগুলোকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে আন্তঃব্যাংকিং লেনদেনের নিষ্পত্তির সুবিধা স্থগিত করে।
2.
মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রা সংকোচন যেকোনো দেশের অর্থনীতির জন্য খারাপ সংকেত বহন করে। তাই সরকার মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করে। তাই ঋণ প্রবাহ কমানোর মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি কমানোর উদ্দেশ্যে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক হতে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সুদের হার ৪% থেকে বাড়িয়ে ৬% করে। এমতাবস্থায় ব্যাংকগুলোর পর্যাপ্ত তারল্য থাকায় এতে তেমন কোনো কার্যক্রমের সুফল পরিলক্ষিত হয়নি। পরবর্তীতে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে জামানত সম্পদের বিপরীতে ঋণ মার্জিনের হার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৃদ্ধি করার নির্দেশ দেন।
3.
মি. রহমত 'P' ব্যাংকের একজন গ্রাহক। ব্যাংকটি গ্রাহকদের থেকে সঞ্চয় সংগ্রহ, গ্রাহকদের ঋণ প্রদান, অর্থ স্থানান্তর এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে লেনদেনে সাহায্য করে থাকে। অন্যদিকে মি. সৈকত 'Q' ব্যাংকের একজন গ্রাহক। ব্যাংকটি নির্দিষ্ট এলাকার গ্রাহকদের নিকট হতে সঞ্চয় সংগ্রহ, ঋণ প্রদান করলেও, বিভিন্ন অঞ্চলে অর্থ স্থানান্তর ও বৈদেশিক বাণিজ্যে লেনদেনে সাহায্য করতে পারে না।
4.
মি. কামাল একজন পাইকারি চালের ব্যবসায়ী। তিনি সালামের নিকট বাকিতে বিক্রয়কৃত ১ লক্ষ টাকার মালের মূল্য বাবদ ৩ মাস পরে দেয় সালামের স্বাক্ষরিত একটি দলিল প্রাপ্ত হন। কিছু দিন পর মি. কামালের নগদ অর্থের প্রয়োজন হলে দলিলটি ব্যাংকে বাট্টাকরণের মাধ্যমে নগদ অর্থপ্রাপ্ত হন। তাছাড়া, ০১-০৪-২০ তারিখে প্রাপ্ত চেকটির টাকা উত্তোলনের জন্য ১৫-১১-২০ তারিখে ব্যাংকে উপস্থাপন করলে চেকের অন্য সব শর্তপূরণ এবং হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ থাকলেও ব্যাংক চেকটি প্রত্যাখ্যান করে।
5.
মি. সায়েম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। কর্মব্যস্ততার কারণে ব্যাংক হতে সরাসরি টাকা উত্তোলন না করে ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহকৃত প্লাস্টিক কার্ড দ্বারা 'ATM' বুথ হতে টাকা উত্তোলন এবং কেনাকাটার ক্ষেত্রে কার্ডটি ব্যবহার করেন। তবে হিসাবে জমাকৃত টাকার অতিরিক্ত ব্যবহার করতে পারেন না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যাংকে গেলে ব্যাংক কর্মকর্তা আরেকটি প্লাস্টিক কার্ড সরবরাহ করেন। বর্তমানে তিনি কার্ডটি দ্বারা হিসাবে জমাকৃত টাকার অতিরিক্ত নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা উত্তোলন বা কেনাকাটার কাজে ব্যবহারের সুযোগ পান। তবে উত্তোলনকৃত অতিরিক্ত অর্থ পরবর্তীতে সুদসহ ব্যাংককে পরিশোধ করতে হয়।