1.
জনাব করিম এবং তার দুই বন্ধু মিলে একটি যৌথ মূলধনী ব্যবসায় গঠন করেন। শুরুতে ব্যবসায় ভালো হলেও আর্থিক সমস্যার কারণে তার ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করতে পারছে না। এমতাবস্থায় তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল যদি সদস্য সংখ্যা সর্বনিম্ন সাতজন হয় তাহলে তাদের কোম্পানির সংগঠনের নামে জনসাধারন্যে শেয়ার বিক্রি করে এবং ঋণপত্রের মাধ্যমে মূলধন বাড়াতে পারবে।
2.
জনাব কামাল, সবুজ ও সাগর তিন বন্ধু মিলে সাতজন আত্মীয়-স্বজন নিয়ে রংধনু লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তারা কোম্পানি গঠনের প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং প্রয়োজনীয় দলিলপত্র প্রস্তুত করে নিবন্ধকের নিকট দাখিল করেন। নিবন্ধন উক্ত দলিল পত্র যাচাই বাছাই করে দেখল মূল দলিলের গুরুত্বপূর্ণ একটি ধারা বাদ পড়েছে। পরবর্তীতে উক্ত ধারা সংযুক্ত করে নিকট জমা দেন। নিবন্ধক যাচাই-বাছাই পূর্ব কোম্পানির নামে নিবন্ধন পত্র প্রদান করেন। এখন নিবন্ধন পত্র পেয়েও তারা কোম্পানি কার্যক্রম শুরু করতে পারল না।
3.
মি. পাভেল যশোরের চাষীদের নিকট থেকে সরাসরি খেজুরের গুড় সংগ্রহ করেন। সংগৃহীত গুড়কে গুনাগুন অনুযায়ী কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করে কৌটাজাত করেন। এই গুড় তিনি দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রয় করেন। কখনো কখনো অনলাইনেও বিক্রয় করেন। এতে তিনি ভাল মুনাফা পান। প্রতিবছর তার গুড়ের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকে।তাই তিনি প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থান করে ঢাকাতে একটি গুড় বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। তিনি আশা করছেন এ বছরে কয়েকগুণ বেশি গুণ বিক্রয় করতে পারবেন। এভাবে তিনি বড় ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে চান।
4.
জনাব আলমগীর, জাহাঙ্গীর ও তুহিন এই তিন প্রতিবেশী মিলে চুক্তির ভিত্তিতে একটি অংশীদারি ব্যবসায় গঠন করেন। জনাব জাহাঙ্গীর চুক্তি মোতাবেক ব্যবসায় পরিচালনায় অংশগ্রহণ করেন না। দিন দিন তাদের ব্যবসায় সুনাম বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু গত বছরে তাদের এক দেনাদারের নিকট থেকে পাওনা আদায় করতে পারছে না।এমনকি আদালতের আশ্রয় নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
5.
কুবের একজন গরীব মাঝি। সে অন্যের ট্রলারে করে সাগরে মাছ ধরতে যায়। তারা বছরের বিভিন্ন মৌসুমে সাগরে মাছ চাষ করে। কিছু সময় তাদের উপার্জিত অর্থ দিয়ে বেশ সংসার চলে,আবার কিছু সময় সংসারে অভাব অনটন দেখা যায়। এজন্য তারা একতা, সততা, সাম্য ও সহযোগিতার ভিত্তিতে একটি সংগঠন গড়ে তুলল। যার সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ৩৫ জন। বর্তমানে তারা আয়ের একটি অংশ সংগঠনের জমা দেন। তাদের আশা আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে তারা একটা মাছ ধরার ট্রলার ক্রয় করতে পারবেন। যার ফলে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে।