1.
একচ্ছত্র কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার অধিকারী নুসাইবা ঢাকায় একটি গার্মেন্টস শিল্প গড়ে তোলেন। পণ্যের গুণগতমান ভালো হওয়ায় ধীরে ধীরে তার ব্যবসায়ে সাফল্য আসে। সম্প্রতি তিনি তার ব্যবসায়ের সম্প্রসারণ করতে চান। কিন্তু তার পর্যাপ্ত- মূলধন নেই। তার দুই বন্ধু ব্যবসায়ে মূলধন সরবরাহ করতে চায়। পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে তারা তিন বন্ধু মিলে ব্যবসায় পরিচালনা করতে রাজি হন।
2.
নিজস্ব কারখানায় মানসম্মত সুতা উৎপাদন করে জনাব শফিক বিভিন্ন বৃহদায়তন শিল্পকারখানায় সরবরাহ করে থাকেন। উন্নতমানের হওয়ায় শফিকের উৎপাদিত সুতা বিভিন্ন পোশাক শিল্পকারখানায় ব্যাপকভাবে সমাদৃত। নিজস্ব তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উৎপাদনকার্য পরিচালনার কারণে ধীরে ধীরে তিনি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সুতা উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। ভবিষ্যতে তার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের পরিকল্পনা আছে।
3. মিসেস মারিয়া স্থানীয় তাল, বাঁশ ও খেজুর গাছের ওপর ভিত্তি করে “নীল আকাশ” নামে একটি কুটিরশিল্প গড়ে তুলেছেন। তার শিল্পে উৎপাদিত হাতপাখা টুপি, শীতল পাটি ও খেলনাসামগ্রী ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে। তার উৎপাদিত পণ্য বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। সম্প্রতি তিনি গ্রাহক চাহিদা বিবেচনা করে অনলাইনে ক্রেতাদের নিকট পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
4.
মি. তারেক গোমতী কোম্পানি লি. এর কিছু শেয়ার ক্রয় করলেন। এর মাধ্যমে তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভোটাধিকার লাভ করলেন। কোম্পানির সকল সুযোগ- সুবিধা' অব্যাহত থাকলেও লভ্যাংশ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তিনি অনিশ্চয়তায় ভোগেন। পাশাপাশি তিনি অন্য একটি কোম্পানির কিছু শেয়ারের মালিক যেখান থেকে তিনি নির্দিষ্ট হারে এবং সর্বাগ্রে লভ্যাংশ পান।
5.
জহির, ওবায়েদ, মিজান সমঝোতার ভিত্তিতে একটি বুটিক হাউজ প্রতিষ্ঠা করেন। পণ্যের মান ভালো হওয়ায় ব্যবসায়ের পরিধি বাড়তে থাকে। ব্যবসায় পরিচালনার সুবিধার্থে এমবিএ ডিগ্রীধারী মি. সুমনকে বিনা মূলধনে প্রতিষ্ঠানে অংশীদার করা হয়। মি. সুমন দক্ষতার সাথে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতে থাকে। কিন্তু আকস্মিক দুর্ঘটনায় মি. সুমন মৃত্যুবরণ করেন।