1. বর্তমানে আমাদের দেশের শহরে দম্পতিদের মধ্যে দুজনেই চাকরি করে এমন দম্পত্তির সংখ্যা বাড়ছে। অনেকেই অফিস থেকে ফেরার পথে ডিপার্টমেন্ট স্টোর থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী কিনে থাকে। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আবার দোকানে না গিয়েও অনলাইনে অর্ডার করে ঘরে বসেই যে কোনো পণ্য পাওয়া যায়।
2.
বিমল পালের পূর্বপুরুষ মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত ছিল। বর্তমানে মাটির তৈরি তৈজসপত্র মানুষ ব্যবহার করে না। উচ্চ শিক্ষিত বিমল পাল এ পেশা থেকে সরে না গিয়ে বরং মাটির তৈরি আধুনিক কারুপণ্য তৈরি করে বড় বড় শহরে সৌখিন ক্রেতাদের নিকট বিক্রি করেন। বিদেশে মাটির তৈরি সৌখিন জিনিসের ব্যাপকচাহিদা আছে জেনে তিনি এসব পণ্য বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ নেন।
3.
বিশ্ববিখ্যাত মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান 'ঢ' বাটন মোবাইল উৎপাদনে পৃথিবীর সেরা ছিল। যুগের চাহিদা টাচ্ মোবাইল উৎপাদনে তারা আগ্রহী না হওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানটি লোকসানের কবলে পড়ে। বর্তমানে তারা টাচ্ মোবাইল উৎপাদন করে বাজার দখলের চেষ্টা করছে। অতীত সুনাম এক্ষেত্রে তাদেরসুবিধা দিচ্ছে।
4. জনাব রহিম তার উৎপাদিত শসা স্থানীয় বাজারে ১০ টাকা কেজি দরে ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করেন। ফড়িয়ারা আবার ঢাকার পাইকারদের কাছে বিক্রি করে। পাইকাররা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। এভাবে নানা হাত ঘুরে যখন ঐ শসা ভোক্তাদের কাছে আসে তখন তারা ৪৫ টাকা কেজি দরে কেনে। অথচ উৎপাদনকারী কৃষক মূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন।
5. সাঈদ সাহেব বিভাগীয় শহরে একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরের মালিক। তিনি শিক্ষিত, সুদর্শন ও মার্জিত ব্যবহার দেখে বিক্রয়কর্মী নিয়োগ দিয়েছেন এবং নিজে গ্রাহকদের সাথে বিক্রয়কর্মীদের ব্যবহার তদারকি করছেন। অন্নদিনেই তিনি ব্যবসায়ে সফলতার মুখ দেখেছেন। অন্যান্য ব্যবসায়ীরা তার সাফল্য দেখে অবাক।