1. জনাব আহমদ রহিমানপুর গ্রামে স্থানীয় মসজিদে সালাতের নেতৃত্ব প্রদান করেন। তাঁর এলাকার লোকদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সামাজিক জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। জুমআর খুতবায় তিনি সমসাময়িক বিষয়াদি সম্পর্কে মুসল্লিদের অবহিত করেন । অপরদিকে জনাব সায়েম আল্লাহর হক আদায়ের পাশাপশি পাড়া-প্রতিবেশীদের খোঁজখবর নেন। তাদের সাথে সদাচরণ করেন।
2. জনাব আরহাম সড়ক দুর্ঘনায় পা হারিয়ে স্বাভাবিক রোজগার বন্ধ হওয়ায় স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বড় বেকায়দায় পড়েন। এলাকার হেডমাস্টার তাঁর অবস্থা বিবেচনা করে তাঁকে অফিসে একটি চাকরি প্রদান করেন এবং তাঁর প্রতি সদয় আচরণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু অফিসের হেড ক্লার্ক প্রতিষ্ঠানের কথা বিবেচনা তাঁকে কোনোরূপ ছাড় প্রদান করেন না । একটু ভুল করলেই তাঁকে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করে ।
3. নাফিউল সাহেবের একমাত্র ছেলে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পাস করার পর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবে। তিনি তাঁর পুত্রকে বলেন, তুমি একাদশ শ্রেণিতে এমন একটি বিষয় নির্বাচন করবে, যেখানে ইসলামকে পরিপূর্ণ জীবনাদর্শ হিসেবে শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে । যে শিক্ষা মানুষের চরিত্র, কর্মদক্ষতা ও আচরণকে পরিশীলিত করে। অপরদিকে, নাফিউল সাহেবের স্ত্রী তাঁর পুত্রকে উক্ত বিষয়ের বৈশিষ্ট্য ও উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন।
4. জনাব নাসির এবং জনাব নাজিম সমাজ সচেতন দুই বন্ধু। তাঁরা আত্মহত্যা নিয়ে আলোচনা করছিলেন। জনাব নাসির বলেন, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় দশ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে যেসব কারণে মানুষের মৃত্যু ঘটে তার মধ্যে আত্মহত্যা ত্রয়োদশ প্রধান কারণ। জনাব নাজিম বলেন, যেসব কারণে মানুষ আত্মহত্যা করে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হলো জীবনে ব্যর্থতা, বিপদাপদে, অভাব-অনটনে, পার্থিব ব্যর্থতা। কিশোর-কিশোরীরা প্রেমে ব্যর্থ হলে আত্মহত্যা করে। জনাব নাসির বলেন, কুরআন ও সুন্নাহর প্রতি আনুগত্য এবং আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসই এ সকল সমস্যা দূর করার উত্তম পন্থা ।
5. জনাব 'ত'-এর এক ছেলে ও দুই মেয়ে । তিনি তাঁর ছেলেকে বিদ্যালয়ে পড়ান; কিন্তু মেয়েদেরকে ধর্মীয় প্রয়োজনীয় জ্ঞানটুকুও শেখাচ্ছেন না। তিনি মেয়েদের প্রতি অসন্তুষ্ট। বিষয়টি জেনে মহল্লার ইমাম সাহেব বললেন, ইসলামের দৃষ্টিতে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে ভেদাভেদ করা উচিত নয়। মহানবি (সা) বলেছেন, মেয়েসন্তানকে উপহার দেবে" ।