1. মি. আলেক্স উত্তরাধিকারসূত্রে এক বিশাল সাম্রাজ্যের অধিপতি হন। ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি লক্ষ করলেন অভ্যন্তরীণ ও বহিঃশত্রুর আক্রমণে সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন। তিনি নিজেকে 'ঈশ্বরের প্রতিনিধি' বলে ঘোষণা করেন, সেনাবাহিনী পুনর্গঠন করেন, রাজতন্ত্রের মর্যাদা রক্ষার জন্য কঠোর নীতি অবলম্বন করেন। তার এ পদক্ষেপ সাম্রাজ্যের সংহতির জন্য সহায়ক হয়। তিনি দীর্ঘদিন দাপটের সাথে শাসনকার্য পরিচালনায় সক্ষম হন।
2. দেশটি বহু বর্ণে, ধর্মে ও জাতিতে বিভক্ত ছিল। ফলে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পক্ষে ঐ দেশে শাসন-শোষণ খুবই সহজ ছিল। এক পর্যায়ে দেশের মানুষ ক্রমেই স্বাধীনতার জন্য উন্মুখ হয়ে পড়ে। একটি রাজনৈতিক দলের নেতা ধর্মের ওপর ভিত্তি করে এক ঐতিহাসিক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রস্তাবটি পরবর্তী সময়ে কিছুটা সংশোধিত হয়ে প্রকাশিত হওয়ার পর দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। শেষ পর্যন্ত উত্ত প্রস্তাবের ভিত্তিতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বিদায় নেয়। দেশটি বিভক্ত হয়ে একাধিক স্বাধীন রাষ্ট্রে আত্মপ্রকাশ করে।
3. রমেশ যে দেশে বসবাস করত, সে দেশটি সামাজিক ক্ষেত্রে নানা বর্ণে ও শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অনৈক্য ছিল আরও প্রকট। এ পরিস্থিতির সুযোগে পার্শ্ববর্তী রাজ্যের সাম্রাজ্যবাদী শাসক তার একজন তরুণ সেনাপতির নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে দেশটি করায়ত্ত করেন। কিন্তু সেখানে বিজয়ী শক্তির দীর্ঘস্থায়ী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা সম্ভব হয়নি। তবে এ বিজয়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ফলাফল ছিল গভীর ও সুদূরপ্রসারী।
4. ইনসান আলি বাল্যকাল থেকে সাহসী, মেধাবী ও ধর্মপরায়ণ ছিলেন। পরাধীন দেশে স্বজাতির নানা অসংগতি দেখে তিনি ব্যথিত হন। বিদেশি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও অত্যাচারে তিনি প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন। জনগণকে ঐক্যবন্ধ করে তিনি বিদেশি শক্তির বিনাশে সশস্ত্র সংগ্রামে জড়িয়ে পড়েন। তিনি স্বদেশকে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্তির লক্ষ্যে দলবলসহ জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে লড়াই চালিয়ে যান। তাঁর এ সংগ্রাম ব্যর্থ হলেও পরবর্তী প্রজন্মকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্দীপ্ত করে।
5. দেশটি দীর্ঘ ঔপনিবেশিক শাসনে নিপতিত হয়। উক্ত শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বহু আন্দোলন সংঘটিত হয়। এক পর্যায়ে একই সময়ে সারাদেশব্যাপী ব্যাপক গণঅসন্তোষ দেখা দেয়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিচক্ষণতার অভাবে ও ঔপনিবেশিক শক্তির উন্নত অস্ত্র বলে এ আন্দোলন কঠোর হস্তে দমন করা হয়। উত্ত গণ-অসন্তোষ ব্যর্থ হলেও ঔপনিবেশিক শক্তির ক্ষমতার ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। দেশের মানুষ রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয়ে ওঠে। নতুন রাজনৈতিক শক্তির উন্মেষ ঘটে, যা ঔপনিবেশিক শাসন থেকে জনগণের মুক্তির পথ প্রশস্ত করে।