1. জুয়েল প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার কিন্তু পুরোনো ধ্যানধারণা আঁকড়ে থাকা পিতার কঠিন অসুখেও চিকিৎসাসেবা সে দিতে পারে না। তাবিজ-কবজ আর পানিপড়ায় বিশ্বাসী পিতা আমিরুল ডা. জুয়েলকে একরকম ত্যাজ্য করেছেন বলা যায়; কারণ গ্রামের গরিব মানুষদের জন্য ডা. জুয়েল আধুনিক এক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং তা তার পিতার মতোই কুসংস্কারাচ্ছন্ন ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে গিয়েই । তারা মনে করেন এতে ধর্মনাশ হচ্ছে আর তারা পাপের ভাগীদার হচ্ছে। মূলত এইসব কুসংস্কারের মূলে রয়েছে তাদের পীরসাহেব, যার পানিপড়া নিতে আজকাল খুব কম মানুষই আসে ।
2. নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন শকুন নেমে আসে এই সোনার বাংলায়;
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমার দেশ ছেয়ে যায় দালালেরই আলখাল্লায়;
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমার স্বপ্ন লুট হয়ে যায়;
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমার কণ্ঠ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়;
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমারই দেশে এ আমার দেহ থেকে রক্ত ঝরে যায়
ইতিহাসে, প্রতিটি পৃষ্ঠায় ।
3. বেতন-ভাতাদি বৃদ্ধির জন্য গোমতি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করলে পুলিশ তাদের কয়েকজনকে আটক করে। আটককৃত শ্রমিকরা তাদের মুক্তির দাবিতে অনশন ধর্মঘট শুরু করে। কারা কর্তৃপক্ষ নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের জন্য নাকে নল ঢুকিয়ে খাবার সরবরাহ করে অনশনকারীদের।
4. বিদ্রোহ আজ বিদ্রোহ চারিদিকে,
আমি যাই তারি দিন-পঞ্জিকা লিখে, এ
তো বিদ্রোহ কখনো দেখেনি কেউ,
দিকে দিকে ওঠে অবাধ্যতার ঢেউ; স্বপ্ন-চূড়ার থেকে নেমে এলো সব—
শুনেছ? শুনছ উদ্দাম কলরব ?
নয়া ইতিহাস লিখছে ধর্মঘট;
রক্তে রক্তে আঁকা প্রচ্ছদপট ।
প্রত্যহ যারা ঘৃণিত ও পদানত,
দেখো আজ তারা সবেগে সমুদ্যত;
5. সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর র তাঁর ৭ই মার্চের ভাষণের শুরুতেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কর্তৃ বাংলাদেশের মানুষের নির্যাতনের কথা তুলে ধরেছেন। পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক অন্যায়ভাবে এবং বিনা কারণে বাংলার মানুষের উপর অত্যাচার, নির্যাতন, গুলি ও রক্তপাত করা হয়েছে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ১৯৭১ সালের ৬ই মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকের সঙ্গে সমঝোতার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তারা সমঝোতা ন করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুরে গুলি চালিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে হতাহত করেছে। এরূপ রক্তের করুণ ইতিহাস পুরা পাকিস্তানি শাসনকালজুড়ে বিরাজমান ছিল। সর্বোপরি ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে জাতির পিতা পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কর্তৃক ২৩ বছর যাবৎ পাকিস্তানি শাসকদের বাংলাদেশের মানুষের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেছেন।
আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক কিন্তু ভুলিনি পাকিস্তানি শাসক তার দোসরদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, ভুলিনি জাতির পিতা ও লাখো শহিদের অবদান ।