1. নোমান একাদশ শ্রেণির ছাত্র। সে পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারে ব্যক্তির ন্যায় সরকারও বিভিন্ন খাতে ব্যয় করে। দেশের সুষম উন্নয়ন, প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহ, সামাজিক কল্যাণ, বাণিজ্যচক্র নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারকে ব্যয় করতে হয়। এজন্য অবশ্য সরকারকে কর ও কর-বহির্ভূত খাত থেকে আয়ও করতে হয়। তার কাছে বিষয়টি খুব মজার মনে হয়।
2. রুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। সে একটি সেমিনার থেকে জানতে পারে বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ হলেও খাদ্য ঘাটতির দেশ। খাদ্যের জন্য প্রতিবছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। সরকার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছে। এ লক্ষ্যে সার, কীটনাশক ও অন্যান্য উপকরণে ভর্তুকি দিচ্ছে। আশার কথা হলো বাংলাদেশে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং খাদ্য ঘাটতি কমছে।
3. বাংলাদেশের অধিকাংশ কৃষক গরিব এবং ভূমিহীন। জামানত দিতে না পারায় তাদের বেশিরভাগ সময় গ্রাম্য মহাজন, ব্যবসায়ী, সুদখোরদের নিকট থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে হয় এবং ফসল উঠার সাথে সাথেই নামমাত্র মূল্যে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হয়। সরকার কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির জন্য উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কৃষিবিমা প্রচলন, কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদান, বাজার সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আশা করা যায়, কৃষিক্ষেত্রে এর সফলতা দ্রুত আসবে।
4. বাংলাদেশের জলবায়ু, খাদ্যাভ্যাস, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রেক্ষাপট ইত্যাদি অনেক কারণেই জনসংখ্যা সম্পদের তুলনায় বেশি। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন সময়ে সরকার শিক্ষার প্রসার, নারী শিক্ষার প্রসার ও ক্ষমতায়ন, বাল্য ও বহুবিবাহ নিষিদ্ধকরণ, জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। তথাপি বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অনেক দেশের তুলনায় বেশি। যেমন- ২০১২ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশে স্থূল জন্মহার ছিল ২০.৫, মৃত্যুর হার ছিল ৬, বহিরাগমন হার ২ ও বহির্গমন হার ৪ ছিল।
5. মি. 'X' ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছেন। তিনি ঢাকার আড়ং-এ বাজার করতে গিয়ে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুণ্য দেখে মুগ্ধ হন। পণ্যসমূহ দামে সস্তা এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের। মি. 'X' জানতে পারেন, যারা এগুলো উৎপাদন করে তারা খুব গরিব এবং কষ্টে জীবনযাপন করে। এতে তিনি খুব কষ্ট অনুভব করেন