2.
জনাব বেলাল তার মেয়ে রিমির ১৫তম জš§দিনে ১২-০১-২০২১ তারিখের একটি চেক প্রদান করেন এবং তাকে তার ইচ্ছামতো টাকার অঙ্ক লিখে নিতে বলেন। রিমি চেকের মধ্যে দুই লক্ষ লিখে ব্যাংক হতে টাকা উত্তোলনের জন্য তার বান্ধবী তৃণাকে ১৫-৯-২০২১ তারিখে পাঠালে ব্যাংক চেকটি প্রত্যাখ্যান করে। যদিও চেকে অথবা ‘বাহককে’ শব্দটি লেখা ছিল।
3.
জনাব হোসেনের ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যের গাড়িটি তার ছোট ভাই মনির ব্যবহার করেন, তাই মনির গাড়িটি বিমা করতে চাইলে বিমাকারী প্রতিষ্ঠান তা করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে। অপরদিকে ঐ ঘটনা ঘটার দুই মাস পর জনাব হোসেন ঐ গাড়িটি রূপকথা ও ঝলক নামক দুটি বিমাকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট পৃথক পৃথক দুটি বিমাচুক্তি করেন। দুর্ঘটনায় গাড়িটির ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হলে জনাব হোসেন রূপকথার নিকট হতে ক্ষতিপূরণের টাকা বাবদ ১০ লক্ষ টাকা আদায় করেন। অতঃপর আবার ঝলকের নিকট হতে একই দুর্ঘটনার জন্য অনুরূপ ক্ষতিপূরণের টাকা বাবদ ১০ লক্ষ টাকা দাবি করলে ঝলক তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
4.
নোমান সাহেব তার নিজের, স্ত্রী ও পুত্র তিনজনের জীবনের উপর একত্রে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য একটি বিমাপত্র ক্রয় করেন। ১ম কিস্তির প্রিমিয়ামের টাকা জমাদানের পরপরই নোমান সাহেবের স্ত্রী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে নোমান সাহেব বিমাদাবির সম্পূর্ণ অর্থই পেয়ে যান। তার কিছুদিন পর নোমান সাহেব তার নিজের জন্য ২০ লক্ষ টাকার একটি মেয়াদি বিমাপত্র μয় করেন এবং তিনি তিন বছর পর্যন্ত নিয়মিত বিমা প্রিমিয়াম প্রদানের পর আর্থিক সংকটের কারণে তিনি বিমা প্রিমিয়াম প্রদানে অক্ষম হয়ে পড়েন। এমতাবস্থায় তিনি বিমাকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট বিমাপত্র ও প্রিমিয়াম প্রদানের রসিদ নিয়ে গিয়ে বিমা চালানোর অক্ষমতা প্রকাশ করলে বিমাকারী প্রতিষ্ঠান তাকে কিছু টাকা প্রদান করবেন বলে জানান। তবে তা নোমান সাহেব কর্তৃক বিমা প্রিমিয়াম হিসেবে প্রদত্ত অর্থের চেয়ে অনেক কম। এতে তিনি খুবই মর্মাহত হন।
5.
জনাব আলাল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য মাসিক ২,০০০ টাকা প্রিমিয়াম প্রদানের শর্তে একটি বিমা কোম্পানির সাথে বিমাচুক্তি করেন। এতে তিনি দুশ্চিন্তামুক্ত।