1. রফিক লেখাপড়া শেষ করে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য মুরগির খামার করার সিদ্ধান্ত নেন। কৃষিবিদ নাজমুল সাহেবের পরামর্শে তিনি রোড আইল্যান্ড রেড জাতের মুরগি দিয়ে খামার শুরু করেন। খামারের সঠিক ব্যবস্থাপনা করায় কয়েক বছরেই তিনি সফল খামারি হিসেবে পরিচিত লাভ করেন। তার সফলতা দেখে এলাকার অন্য যুবকরাও খামার স্থাপনে উদ্বুদ্ধ হন।
2. মাছ ব্যবসায়ী নাজিম প্রায়ই মাছের ভালো দাম না পাওয়ার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হন। তিনি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সাথে দেখা করে এ ব্যাপারে পরামর্শ চান। মৎস্য কর্মকর্তা তাকে জানালেন সঠিকভাবে মাছ সংরক্ষণ না করার কারণে তার মাছ পচে যায় এবং এজন্য তিনি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলেন।
3. জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও বন বিভাগের দিক নির্দেশনায় টাঙ্গাইলে প্রতি বছর কৃষি ও বৃক্ষ মেলার আয়োজন করা হয়। এ মেলায় স্থানীয় সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন। মেলায় বনজ, ফলদ ও ভেষজ বৃক্ষের চারা বিক্রির পাশপাশি বিভিন্ন ধরনের কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শিত হয়। মেলায় বিভিন্ন বনায়নের মডেল প্রদর্শিত হয়। এই মেলা এলাকার কষি উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
4. অভিজ্ঞ কৃষক খালিদের বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদীতে। তাঁর বিভিন্ন ধরনের ফলদ গাছের বাগান আছে। তিনি গাছে ফুল আসার পূর্বে ট্রেনিং করে গাছকে কাঙ্ক্ষিত আকৃতি দিয়েছেন। এখন প্রতিবছর ফল সংগ্রহের পর তিনি গাছের প্রুনিং করেন। এর ফলে তার বাগানের ফুল, ফল ধারণ ও ফলের গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। তিনি এলাকার একজন সফল ফল চাষি।
5. শরিফের একটি হাঁসের খামার আছে। একদিন তিনি লক্ষ করলেন। তার খামারের কিছু হাঁস আলো দেখলে ভয় পাচ্ছে এবং ঘাড় মাথা বাঁকা করে উপরের দিকে তাকিয়ে থাকছে। তিনি দ্রুত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সাথে দেখা করে সমস্যার সমাধান চাইলেন। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শরিফকে জানালেন তার খামারে হাঁসগুলো প্লেগ রোগে আক্রান্ত। অতঃপর কর্মকর্তা শরিফকে উক্ত রোগ দমনের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ দিলেন। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামশ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করে শরিফ তার খামারে রোগ দমনে সমর্থ হলেন।