1.
'S' নামক রাষ্ট্র দুটি অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। তন্মধ্যে শাসকগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষাকে বাদ দিয়ে সংখ্যালঘিষ্ঠের ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা দেয়। শুরু হয় বঞ্চিত সম্প্রদায়ের তীব্র আন্দোলন। যার পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত রাষ্ট্রের প্রথম সংবিধানের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষার রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করে।
2.
সম্প্রতি রাফিদের গ্রামে ব্যাপক সমারোহে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। নির্বাচনের প্রার্থীরা বিভিন্ন প্রতিক নিয়ে অংশগ্রহণ করে। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান প্রার্থীদের জন্য তফসিল ঘোষণা করে। নির্বাচনের রাফির এক পঙ্গু চাচা অন্যের সহায়তায় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন । তিনি মনে করেন, এটা তার রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব পালন।
3.
জনাব 'ক' একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দরিদ্র কৃষককুলের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ঋণ সালিশি বোর্ড, কৃষক -শ্রমিক পার্টি গঠন করেন।জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ করেন। অপরদিকে, জনাব 'খ' একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন অভিভক্ত বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। সামরিক শাসনের বিরোধিতা করে জেলা খেটেছেন।
4.
ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় উপমহাদেশে শাসনকালে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর একটি শাসনতান্ত্রিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফলের এদেশের দ্বৈত শাসন ও দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা চালু হয়। পরবর্তীতে ১৯৩৫ সালে আরেকটি শাসনতান্ত্রিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে বলা হয়, প্রদেশগুলো হবে স্বায়ত্তশাসিত। এছাড়া এখানে সর্বভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত থাকবে। প্রকৃতপক্ষে এ ব্যবস্থায় গর্ভনর জেনারেল ও প্রাদেশিক গর্ভনরের ব্যাপক ক্ষমতায় ছিল।
5.
'ক' রাষ্ট্র স্বাধীন হওয়ার পর থেকে শাসকগোষ্ঠীর নির্যাতন শুরু হয়। সাধারণ জনগণ এর প্রতিবাদ শুরু থেকেই ঐক্যবদ্ধ হয় । স্বাধীনতার প্রায় দুই যুগ পরে শাসকগোষ্ঠী প্রথম ও শেষ সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করে। নির্বাচনের জনগণ তাদের পছন্দের দলকে বিপুল ভোটে জয়ী করে। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী বিজয় দলকে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে,যার পরিপ্রেক্ষিতে বিজয়ী দলের নেতা স্বাধীনতার ডাক দেন।