1. স্বাধীনতা পরবর্তী অবস্থায় এদেশের কৃষি নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল। পরবর্তীতে উচ্চফলন বীজ, সার, কীটনাশক প্রয়োগ, ট্রাক্টর প্রভৃতি যন্ত্রপাতির ব্যবহার কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। একই জমিতে বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের কারণে কৃষি উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ঋণপ্রদান, প্রশিক্ষণ, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি কৃষি সমস্যা সমাধানে ভূমিকা পালন করছে।
2. বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে লোকসংখ্যা ছিল ১৩কোটি ১৫লক্ষ, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ কোটি। বর্তমানে শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই জনগোষ্ঠিকে দক্ষ শ্রমশক্তিতে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। এতে করে জাতীয় আয় ও মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়ছে। ২৫ বছর পূর্বে এদেশে খাদ্য ঘাটতি থাকলেও বর্তমানে বাংলাদেশ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই অর্জন করেনি বরং খাদ্য রপ্তানিও শুরু করেছে।
ক শিল্প |
খ শিল্প |
গ শিল্প |
মূলধন ৫০ কোটির অধিক,শ্রমিক ৩০০ জনের অধিক |
মূলধন ৭৫ লক্ষ থেকে ১৫ কোটি এবং শ্রমিক ৩১-১২০ জন |
মূলধন ১০ লক্ষ টাকার নিচে এবং শ্রমিক সর্বোচ্চ ১৫ জন |
4. বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাঁচাপাট, চা,চামড়া, তৈরী পোশাক, শাকসবজি ও হিমায়িতখাদ্যসহ বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী রপ্তানি করে। আবার দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে খাদ্যশস্য, তৈলবীজ, ভোজ্যতেল ও সারসহ বিভিন্ন মূলধনীদ্রব্য আমদানি করে। এভাবে আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমে দেশটির যেমন অনুৎপাদিত দ্রব্য ভোগ করতে পারে, ঠিক তেমনি উদ্বৃত্ত পণ্যও রপ্তানি করতে পারে।
5. মি. আজাদ বাংলাদেশের একজন নামকরা শিল্পপতি। তিনি চা, চামড়া, পাট ও তৈরি পোশাক বিদেশে রপ্তানি করেন। তিনি মনে করেন বিপুল শ্রমশক্তির কারণে এ দেশের তৈরি পোশাক শিল্প অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। বিনিয়োগের পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলে এই শিল্প দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।