1. অভিজ্ঞ কৃষক আফাজের বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদীতে। তাঁর বিভিন্ন ধরনের ফলদ গাছের বাগান আছে। তিনি গাছে ফুল আসার পূর্বে ট্রেনিং করে গাছকে কাঙ্ক্ষিত আকৃতি দিয়েছেন। এখন প্রতিবছর ফল সংগ্রহের পর তিনি গাছের প্রুনিং করেন। এর ফলে তার বাগানে ফুল, ফল ধারণ ও ফলের গুণগতমান বৃদ্ধি পায়। তিনি এলাকার একজন সফল ফল চাষী।
2. নাঈম দুগ্ধ ব্যবসায়ী। তিনি গ্রাম থেকে দুধ কিনে শহরে সরবরাহ করেন। অতিরিক্ত গরমের কারণে মাঝে মাঝে তার দুধ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে তিনি ক্ষতির সম্মুখীন হন। কৃষিবিদ ফুয়াদ সাহেবের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করলে তিনি নাঈমকে পাস্তুরিকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুধ সংরক্ষণের পরামর্শ দেন। কৃষিবিদ ফুয়াদ সাহেব তাকে পাস্তুরিকরণ প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে দেন। তিনি নাঈমকে পাস্তরিকরণের সুবিধা, অসুবিধা ও গুরুত্ব সম্পর্কেও বিস্তারিত বলেন।
3. শাহিনের একটি হাঁসের খামার আছে। একদিন তিনি লক্ষ করলেন তার খামারের কিছু হাঁস আলো দেখলে ভয় পাচ্ছে এবং ঘাড় মাথা বাঁকা করে উপরের দিকে তাকিয়ে থাকছে। তিনি দ্রুত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সাথে দেখা করে সমস্যার সমাধান চাইলেন। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শাহিনকে জানালেন তার খামারের হাঁসগুলো প্লেগ রোগে আক্রান্ত। অতঃপর কর্মকর্তা শাহিনকে উক্ত রোগ দমনের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ দিলেন। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করে শাহিন তার খামারের রোগ দমনে সমর্থ হলেন।
4. জাফর বিটিভিতে চিংড়ি চাষের উপর একটি প্রতিবেদন দেখে চিংড়ি চাষে উদ্বুদ্ধ হন। প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে গলদা ও বাগদা চিংড়ির চাষ পদ্ধতি উপস্থাপন করা হয়। পরিশেষে উপস্থাপক বলেন, “বাংলাদেশে চিংড়ি চাষের যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে।
5. মাছ ব্যবসায়ী শীতল মাছের ভালো দাম না পাওয়ার কারণে মাঝে মাঝে ক্ষতির সম্মুখীন হন। তিনি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সাথে দেখা করে এ ব্যাপারে পরামর্শ চান। মৎস্য কর্মকর্তা তাকে জানালেন সঠিকভাবে মাছ সংরক্ষণ না করার কারণে তার মাছ পচে যায় এবং এজন্য তিনি ভালো দাম পান না। এরপর মৎস্য কর্মকর্তা শীতলকে মাছ পচনের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত বললেন। পরিশেষে তিনি মাছ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলেন।