2. গরীব সংসারের মেধাবী ছাত্র শান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে কয়েক বছর চাকরির চেষ্টা করেও চাকরির দেখা পেল না। নিজের জীবনের চাহিদা ঠিকমতো মেটানোসহ বাবা-মার সংসারেও কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা করতে পারছে না। তাই শান্ত দীর্ঘদিন হতাশায় ভুগে ছিনতাই চক্রের সাথে যোগ দিয়ে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, খুনসহ নানাবিধ অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়।
3. লিজা গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তান। বেঁচে থাকার তাগিদে সে ব্যবসায়ী সবুজ সাহেবের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে। সবুজ সাহেবরা যা খেত লিজাকে তা খেতে দেওয়া হতো না। সবুজ সাহেবের স্ত্রী লিজার সাথে ভালো ব্যবহার করে না বরং মাঝে মাঝে গালমন্দ ছাড়াও তাকে প্রহার করে থাকে।
4. জামিল সাহেবের তিনটি ছেলে। বড় ছেলের নাম জনি । মেজটির নাম রনি। ছোট ছেলের নাম পিন্টু। জনির ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী নিয়ে জামিল সাহেব একসাথে বসবাস করেন। রনি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা নিয়ে পাশের শহরে বসবাস করেন। প্রবাসী পিন্টু ছুটিতে এসে বিয়ে করে নতুন স্ত্রীকে নিয়ে প্রবাসে চলে যান ।
5. বাজিতপুর গ্রামের বর্গাচাষি রহিম মিয়ার আজ খুশির দিন। কেননা নতুন ফসল কেটে সে আজ বাড়িতে তুলেছে। রহিমের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরাও আজ খুব আনন্দিত। তারা মায়ের কাছে নতুন ধানের চাল দিয়ে পিঠা ও পায়েস খাওয়ার আবদার করছে। রহিম মিয়ার মনে দুঃখ-কষ্টে ফলানো ফসল অন্যের ঘরে চলে যায়। যদি নিজের কিছু জমি থাকত তাহলে এ কষ্ট আর থাকত না ।