1.
জনাব অলকেশ 'পিওর বেকারি' নামে একটি বিস্কুট উৎপাদন ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। প্রতিষ্ঠানটি সবসময় উচ্চমান, বৈচিত্র্যতা বজায় রেখে বিস্কুট উৎপাদন করে থাকে। ক্রেতারা সন্তুষ্ট থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি লাভ করতে পারছে না। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি বাজার বিভক্তিকরণ করে ক্রেতা উপযোগী প্রসার কৌশল বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
2.
জনাব কার্তিক পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত পর্যাপ্ত জমির মালিক। এজন্য তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন বাড়ি সংলগ্ন ১০ একর জমিতে বারী-৪ জাতের আমের বাগান করবেন। আশ্বিন মাসে এই আম পাকে এবং অত্যন্ত মিষ্টি ও সুস্বাদু হয়। এই সময় বাজারে অন্য মিষ্টি আম পাওয়া যায় না। সে কারণে এই আমের চাহিদা সর্বাপেক্ষা বেশি। ফলে জনাব কার্তিক আম উৎপাদনে লাভবান হন। এমতাবস্থায় বাজারে বারী-৪ জাতের আমের চাহিদা বেশি হওয়ায় তিনি আরও ৫ একর জমি লিজ নেওয়ার কথা ভাবছেন।
3.
জনাব ফাহিম একজন পাট ব্যবসায়ী। তিনি ফরিদপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কৃষক এবং ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের নিকট হতে অর্থের বিনিময়ে পাট সংগ্রহ করেন। সংগৃহীত পাট তিনি দাম ও মান অনুযায়ী A, B ও C শ্রেণিতে বিভক্ত করে সেগুলো তিনি পাইকারি ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের নিকট বিক্রয় করেন। এভাবে ব্যবসা করে জনাব ফাহিম আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
4.
জনাব রহিম একজন খুচরা ব্যবসায়ী। তিনি মুড়ি, খই, চিড়া দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মোয়া, নারিকেল ও তিল দ্বারা রকমারি নাড়ু তৈরি করে বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করেন। জনাব রহিম ক্রেতাদের রুচি, চাহিদা ও সন্তুষ্টির প্রতি গুরুত্ব দেন বলে ক্রেতারা তার পণ্য আগ্রহের সাথে ক্রয় করেন। ফলে দিন দিন তার পণ্য বিক্রি বাড়ার সাথে সাথে মুনাফার পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তেমনি এলাকাতে সুনামও অর্জিত হচ্ছে। জনাব রহিম আগামীতে তার ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা করছেন।
5.
x ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি' গত কয়েক বছর থেকে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসি উৎপাদন ও বিপণন করছে। কম বিদ্যুৎ ব্যবহার হওয়ার কারণে তাদের বিপণনকৃত এসি গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে। ফলে প্রতিদিন অসংখ্য নতুন নতুন গ্রাহক এসি ক্রয় করার বিক্রয়ের পরিমাণ ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পর্যায়ে প্রমোশন ও বণ্টনসংক্রান্ত ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও বর্ধিত মুনাফার কারণে ‘x ইলেকট্রনিক্স কোম্পানির' কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত সন্তুষ্ট।