1. বিদ্যুৎ উৎপাদনে বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে বর্তমান সরকার বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে দেশের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে সমর্থ হয়েছে। ফলে নাগরিক জীবনে স্বস্তি এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
2. জনাব আশরাফ উপকূলীয় এলাকার একজন প্রান্তিক চাষি। তিনি সারাবছর বিভিন্ন রকমের শস্য উৎপাদন করে থাকেন। পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার জন্য তিনি তার উৎপাদিত শস্য শহরে বিক্রয় করতে পারেন না। অন্যদিকে মধ্যবর্তী ব্যবসায়ী ও দালালদের দৌরাত্ম্যের কারণে তিনি ন্যায্যমূল্য হতে বঞ্চিত হন। সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় ফসলের মৌসুমেই কম দামে শস্য বিক্রয় করতে বাধ্য হন। কঠোর পরিশ্রম করেও আশরাফের আর্থিক সচ্ছলতা অর্জিত হয়নি।
3. রহমান সাহেব দেশের নামকরা শিল্পোদ্যোক্তা। তিনি চামড়াজাত দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিক্রি করে প্রচুর আয় করেন। তার কারখানায় অনেক লোক কাজ করে। গত বছর রপ্তানি মেলায় রহমান সাহেব পুরস্কৃত হন।
4. মি. আলম একজন সাধারণ ব্যবসায়ী। তিনি দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে চাল সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করেন। ফলের মৌসুমে তিনি রাজশাহী অঞ্চলের আম, লিচু ইত্যাডি সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে সরবরাহ করে থাকেন। অন্যদিকে, মি, চৌধুর তৈরি পোশাক রপ্তানি করে সাফল্য লাভ করেছেন। তিনি সরকারের প্রদত্ত নগদ সহায়তা, আয়করের ওপর রেয়াত সুবিধা লাভ করেন। সরকার তাকে সিআইপি মর্যাদায় ভূষিত করে।
5. রমিজ সাহেব একজন ক্ষুদ্র চাষি। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সামান্য জমিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিজেই চাষাবাদ করেন। কঠোর পরিশ্রম করেও তিনি সচ্ছলতার মুখ দেখেননি। বরং কোনোরকমে জীবননির্বাহ করে চলেছেন। অন্যদিকে, সফিক সাহেব অনেক ভূ-সম্পত্তির মালিক। জমি চাষাবাদ করে তিনি বেশ লাভবান হয়েছেন। তার নিজের ট্রাক্টর ও সেচযন্ত্র আছে। গত বছর তিনি উৎপাদিত পণ্য ও উপকরণ পরিবহনের জন্য একটি পিকআপ ভ্যান ক্রয় করেছেন। এ বছর তিনি একটি হারভেস্টার কেনার ইচ্ছা পোষণ করেন।