1.
জনাব শিহান একটি রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত। তিনি প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা ও নীতি প্রণয়ন এবং জটিল সিদ্ধান্ত গ্রহণের সাথে সম্পৃক্ত। অপরপক্ষে জনাব কাকলী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যান। তিনি তত্ত্বাবধায়ক ও ফোরম্যানদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা এবং পরামর্শ দেন। সবার সমন্বিত প্রয়াস ও নৈপুণ্যে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ও সাফল্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
2.
ফ্লোরা লি. এর মহা-ব্যবস্থাপক জনাব কাওসার উৎপাদন, বিপণন এবং ফিন্যান্সসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিজে গ্রহণ করেন এবং অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থাপনার নিচের স্তরে প্রদান করেন। মহা-ব্যবস্থাপক সব বিভাগের কর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে সুসম্পর্ক বজায় রাখেন। তিনি তাদের সমস্যাগুলো ধৈর্য ও আন্তরিকতার সাথে শুনেন এবং দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটি পর্যায়ক্রমে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করছে।
3.
MNL কোম্পানির মহা-ব্যবস্থাপক জনাব আশরাফুল বার্ষিক ৫১,০০০ মেট্রিক টন পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দেন। চার মাস পর দেখা গেল যে, মাত্র ১৪,০০০ মেট্রিক টন পণ্য উৎপাদিত হয়েছে। কোম্পানির মহা-ব্যবস্থাপক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম উৎপাদনের কারণ উদ্ঘাটন করলেন এবং নতুন প্রযুক্তি প্রবর্তনপূর্বক ইউনিট ম্যানেজারকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
4.
জনাব নিগাত করতোয়া লি. কোম্পানির ব্যবস্থাপক। তিনি প্রতিষ্ঠানের কাজে এতটা নজর দেন না; বরং কর্মীদের উপর দায়িত্ব দিয়ে নিজে নিশ্চিন্ত থাকতে কর্মীরাও অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে। অপরপক্ষে, নিগাতের বন্ধু জনাব নিগার মধুমতি কোম্পানির উৎপাদন ব্যবস্থাপক। তিনি প্রতিষ্ঠানের দ্বার্থে সব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, ধৈর্য ও ঝুঁকি নিয়ে পালন করেন এবং কর্মীদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য অনুপ্রাণিত করেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উৎপাদন নিশ্চিত পূর্বক প্রচুর মুনাফা অর্জন করছে।
5.
পদ্মা লি. এর প্রধান কার্যালয়ের মহা-ব্যবস্থাপক জনাব জাওয়াদ উৎপাদন বিভাগ, মানব সম্পদ বিভাগ এবং অর্থ বিভাগের যাবতীয় কাজকে চিহ্নিতকরণপূর্বক কর্মীদের কাজের দায়-দায়িত্ব, কর্তৃত্ব ও পারস্পরিক সম্পর্ক ঠিক করে দেন। জনাব জাওয়াদ বিভিন্ন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহ নিজে নেন এবং অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থাপনার নিম্নস্তরে এবং শাখা অফিসের ওপর অর্পণ করেন। এতে কর্মীরাও নিশ্চিন্তে নিজ নিজ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারেন। ফলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা সহজে অর্জিত হয়।