1. দিল্লির বাদশাহ নাসিরুদ্দিন ছিলেন একজন প্রজারঞ্জক শাসক। পথে প্রান্তরে ঘুরে ঘুরে প্রজাদের অবস্থা স্বচক্ষে দর্শন করতেন। অনেক সময় আটার বস্তা বহন করে প্রজাদের গৃহে পৌছে দিতেন। কখনো বা প্রসূতির প্রসব যন্ত্রণা নিবারণার্থে তার বিবিকে কোনো দরিদ্রের গৃহে পৌছে দিয়ে আসতেন । তবে বাদশা নাসিরুদ্দিনের বিচার বিভাগ ছিল বড়ই দুর্বল।
2. আব্বাসি খলিফা আল মাহদী ৭৭৫ খ্রিষ্টাব্দে বাগদাদের ক্ষমতায় উপবিষ্ঠ হওয়ার পর নানা ধরনের বিদ্রোহের সম্মুখীন হন। এ সময় তার রাজত্বের ক্ষুদ্রাকৃতি ও অপ্রিয়দর্শন হাকিম মুকান্না নিজেকে নবি বলে দাবি করেন। এমনকি নিজের পক্ষে অনেক অনুসারীও তিনি তৈরি করেছিলেন। খলিফা আল মাহদী তাদের প্রতি কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেন। এ সকল বিদ্ৰোহ দমন করে খলিফা আব্বাসি সাম্রাজ্যের ভিত্তি আরো সুদৃঢ় করেন ।
3. সিন্ধু সভ্যতা প্রাচীন সভ্যতাগুলোর অন্যতম। এটি একটি নগরভিত্তিক সভ্যতা। তাদের লিখন পদ্ধতি ছিল চিত্রভিত্তিক। সিন্ধু সভ্যতা নগর সভ্যতা হলেও তারা উন্নত কৃষি ব্যবস্থার প্রচলন করেছিল। যব, গম, তুলাসহ নানা প্রকার ফসল উৎপন্ন করত। ফলন বৃদ্ধির জন্য জমিতে বাঁধ দিতো। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করে কাজে লাগাত। আবার জলসেচের জন্য নালা কেটে, পানি এনে ফসলে দিত।
4. মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ শাসক আওরঙ্গজেব একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসেবে দুর্নীতি, অনৈসলামিক ও অনৈতিক কাজ নিষিদ্ধ করেন। তিনি সর্বজনীন প্রশাসন প্রতিষ্ঠার নীতি গ্রহণ করেন। তিনি তার সময়ের প্রায় ৮০ প্রকার বেআইনি কর রহিত করেন। তিনি যাকাত, উশর ইত্যাদি মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামূলক করেন এবং অমুসলিমদের জন্য জিজিয়া কর পুনঃপ্রবর্তন করেন। এছাড়া ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামি শিক্ষার প্রসারে তিনি নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তবে তিনি দাক্ষিণাত্য অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন। আর এ দাক্ষিণাত্য অভিযানেই অনেক মন্দির ধ্বংস করা হয় এবং মন্দিরের ধন-সম্পদ লুট করা হয়।
5. United Nations General Assembly ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার সনদ ঘোষণা করে। এ সনদে উল্লেখিত ধারাসমূহে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের সহজাত মর্যাদা, সমান অধিকার ও সমতা রক্ষার কথা বলা হয়। এছাড়া এ সনদে বিশেষভাবে বিশ্বের সকল মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ এবং সকল বর্ণ ও ধর্মের মানুষের সমমর্যাদার কথা বলা হয়েছে, যা বিশ্বমানবের সকলকে একই সূত্রে গ্রথিত করে। এভাবে এ সনদ বিশ্বমানবতার মুক্তির ম্যাগনাকার্টা হিসেবে বিশ্ববিবেককে সচেতন করে তোলে ।