1.
খুলনা শহরে জনাব শিমুলের একটি মুদির দোকান আছে। দোকানে তিনি ডাল, তেল, সাবান, লবণসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করেন। এই পণ্যগুলোর মূল্য দরকষাকষির মাধ্যমেই নির্ধারিত হয়, তাই ক্রেতারা পণ্যের মূল্য নিয়ে খুব একটা চিন্তা-ভাবনা করেন না। তবে একচেটিয়া বাজারে এভাবে পণ্যের মূল্য নির্ধারিত হয় না।
2.
জলি ইলেকট্রনিক্স লি. গত কয়েক বছর ধরে উন্নত মডেলের 'Vivo মোবাইল ফোন বাজারজাতকরণ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির অত্যাধুনিক মোবাইল সেট সকল শ্রেণির ক্রেতাদের নিকট বিক্রয়ের জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শো-রুম প্রতিষ্ঠা করেছে। কিন্তু ক্রেতাদের 'Vivo' নামক মোবাইল ফোন সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা না থাকায় বিক্রয় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। ফলে কোম্পানিকে প্রতি বছরই লোকসান গুণতে হচ্ছে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ক্ষতি হতে উত্তরণের পথ খুঁজছেন।
3.
বাবু ভোলানাথ ভোলা শহরে 'নাথ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার' নামে মিষ্টির দোকান পরিচালনা করেন। ভোলায় দুধের সরবরাহ বেশি ও দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় খাঁটি ছানার তৈরি মিষ্টির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। পরবর্তীতে অনলাইনে অর্ডার পাওয়ায় তাঁরা বরিশাল ও ঢাকায় তাদের উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ করেন। অদূর ভবিষ্যতে তারা নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে অন্যান্য শহরেও পণ্য সরবরাহের পরিকল্পনা করেছেন।
4.
মি. নজরুল একটি জেলী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। তিনি লক্ষ করলেন তাদের তৈরি জেলী যেভাবে দ্রুত বাজার পেয়েছিল তার গতি কমে এসেছে। তিনি বাজারে প্রচলিত অন্য জেলীগুলোর মান ও তাদের বাজার সম্পৃক্ততা বিবেচনায় নিলেন। এতে তিনি দেখলেন গ্রাহকরা জেলীর রং, স্বাদ, ঘ্রাণ, প্যাকেট ইত্যাদিতে বৈচিত্র্যতা প্রত্যাশা করে এবং প্রতিযোগী মূল্যেও তারা পণ্যটি পেতে চায়। তিনি ভোক্তাদের এ প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট হওয়ায় এখন আবার বিক্রয় বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
5.
জনাব আবিদ কলাপাড়ায় একটি মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা স্থাপন করেন। পায়রা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে তিনি কম খরচে প্রক্রিয়াজাতকৃত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করেন। বন্দর কাছাকাছি হওয়ায় তাঁর রপ্তানি ব্যয় অনেক কম। তিনি অপেক্ষাকৃত কম দামে একই মানের পণ্য সরবরাহ করে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে পেরেছেন।