1. জনাব টগর মাস্ক প্রস্তুতকারী একজন ব্যবসায়ী। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার আবার লকডাউন ঘোষণা করতে পারে এমনটি আঁচ করতে পেরেছেন। অধিক মুনাফার আশায় তার গোডাউনে সংরক্ষিত মাস্ক বিক্রয় বন্ধ করে দেন। ফলে ক্রেতারা বাজারে মাস্ক পাচ্ছেন না। এ সুযোগে এক সময় ৫ টাকার মাস্ক ৫০ টাকায় বিক্রি করেন।
2. আমীন ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড নিবন্ধনপত্র পাওয়ার পর জনগণের নিকট শেয়ার বিক্রির জন্য তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংবলিত একটি দলিল তৈরি করে নিবন্ধকের নিকট প্রদান করে। নিবন্ধক উক্ত দলিল অনুমোদন করে তাদের উৎপাদনে যাওয়ার অনুমতি দেয়। অনুমতি পাওয়ার দেড় বছরের মধ্যেও তারা উৎপাদনে না যাওয়ায় আদালত তাদের প্রতিষ্ঠানটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
3. রাইট শেয়ার কোং লি. ব্যবসায় পরিচালনায় অতিরিক্ত মূলধনের প্রয়োজন হওয়ায় তার সংগ্রহ করার জন্য পুরানো শেয়ার হোল্ডারদের অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যবসায় লোকসানের কারণে প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ কোটি টাকা দেনা হয়ে যায়। যা প্রতিষ্ঠানটি পরিশোধে অক্ষম। এ অবস্থা নিরসনে তারা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেন।
4. বিবিএ পড়ুয়া হুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্র। একজন আত্মনির্ভরশীল ব্যক্তি হিসেবে নিজের লেখাপড়ার খরচ চালানোর জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি অল্প মূলধন নিয়ে বাড়ির পাশেই একটি ফটোকপির ব্যবসায় আরম্ভ করে। ফটোকপির পাশাপাশি ভোক্তা সাধারণকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিনড়ব পরীক্ষার ফরম পূরণ, রেজাল্ট প্রকাশ, মেইলের তথ্য আদানপ্রদান, টার্ম পেপার প্রস্তুত ইত্যাদি সেবা প্রদান করে বেশ ভালোই মুনাফা অর্জন করে। তিনি নিজে ব্যবসায়ের সমস্ত বিষয় সামাল দিতে না পারায় বড় ভাইকে ফটোকপি অংশের দায়িত্ব দিয়েছেন। ফলশ্রুতিতে হুমায়ূনের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায় সফলতার আলো দেখতে শুরু করে।
5. সুমন ও মিসেস নিশি শেয়ারবাজার থেকে "তানহা লিমিটেড" নামের কোম্পানির যথাক্রমে ১০ লক্ষ ও ৫ লক্ষ টাকার শেয়ার ক্রয় করেন। জনাব সুমন উল্লিখিত কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগদানের আমন্ত্রণ পেলেও মিসেস নিশি তা পাননি। কোম্পানিটি বিলোপসাধনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে মিসেস নিশি তার বিনিয়োগকৃত ৫ লক্ষ টাকা ফেরত পান। কিন্তু জনাব সুমন তার বিনিয়োগকৃত টাকার মধ্যে মাত্র ৬ লক্ষ টাকা ফেরত পেলেন।