1. জনাব আবু রায়হান একজন পরোপকারী ব্যক্তি। সমাজের সকলের সুখে-দুঃখে তিনি ভূমিকা রাখেন। সমাজের মানুষের কল্যাণে সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় তিনি নিজ স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কাজ করেন। আবু রায়হানের চাচাতো ভাই আবু আয়মানও একজন সামাজিক মানুষ। তিনিও সমাজের মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন, মানুষের সেবা করতে চান, কিন্তু তিনি মনে করেন মানুষের সেবা করার জন্য ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া জরুরি। বয়সে ছোট হলেও তিনি অনেক সময় আবু রায়হান সাহেবের ওপরও প্রভাব বিস্তার করে থাকেন। তবে, আবু আয়মান একজন সৌন্দর্যপ্রিয় ও শিল্পমনা ব্যক্তিও বটে। তিনি সবসময়ই পরিপাটি থাকেন এবং সন্তানদেরও সেভাবে রাখতে পছন্দ করেন।
2. নাহিন নবম শ্রেণিতে পড়ে। সে বাবার সঙ্গে প্রতিদিন খবরের। কাগজ পড়ে এবং টেলিভিশনে খবর শোনে। সম্প্রতি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশাধীন রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশার খবর তাকে খুব কষ্ট দেয়। কীভাবে তাদের সাহায্য করা যায় এই নিয়ে চিন্তা করতে থাকে। নাহিনের মামা মতিন সাহেব যেকোনো বিষয় সম্পর্কে যথার্থ বিবেচনা ছাড়াই যুক্তিহীন, নেতিবাচক ও বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব পোষণ করেন। যেমন- তিনি মনে করেন দরিদ্রদের লেখাপড়া করার প্রয়োজন নেই। মতিন সাহেবের এ ধরনের মানসিকতা অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়।
3. দিনমজুর করিম শেখের মেধাবী ছেলে সিফাত এবার মেডিকেল ও বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দুটোতেই কৃতকার্য হয়। সে ভীষণ চিন্তিত কোনটাতে ভর্তি হবে। মেডিকেল না বুয়েটে। ছেলের সাফল্যে বাবা খুশি হলেও ভীষণ অস্থির ও চিন্তিত সিফাতের ভর্তি ও পড়াশোনার খরচ চালানো নিয়ে। অবশেষে ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তার একমাত্র সম্বল দুধের গাভী বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর নিজেকে এই বলে সান্ত্বনা দেয় পড়াশোনা শেষ করে ছেলে সংসারের হাল ধরবে।
4. রহিম সাহেবের দুই সন্তান সজল ও রিপন। তৃতীয় শ্রেণিতে হয় স্থান অধিকার করায় রহিম সাহেব সজলকে একটি খেলনা কিনে দেয়। এতে সজলের উৎসাহ বৃদ্ধি পায় এবং পরবর্তী পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকার করার জন্য পড়ালেখায় আরও মনোযোগী হয়। অন্যদিকে, রিপন অনেক অলস ছিল, কোনো কিছু সময়মতো করত না। পরে শিক্ষকের। নির্দেশ ও উপদেশনার কারণে তার মধ্যে নিয়মানুবর্তিতা, আত্মনির্ভরশীলতা ও শৃঙ্খলাবোধ দেখা যায়। রহিম সাহেব সন্তানদের লেখাপড়া ছাড়াও অন্যান্য বিষয়, যেমন- খাওয়া, কাপড় পরা, মার্জিত আচরণ করা ইত্যাদির প্রতিও খেয়াল রাখেন। এতে করে তার মধ্যে সুদ্ধ সামাজিকতার বিকাশ ঘটে।
5. দৃশ্যকল্প-১: ইকবাল সাহেব কলেজের শিক্ষক। তিনি শ্রেণিতে লক্ষ করলেন যে সোহান, নামে একজন ছাত্র শ্রেণিতে খাপ খাওয়াতে পারছে না। ইকবাল সাহেব ছেলেটিকে মনোবিজ্ঞানীর কাছে। পাঠালেন। মনোবিজ্ঞানী সোহানকে কতগুলো কার্ড দেখান এবং কার্ডে 'কী 'দেখতে পাচ্ছে তা বলতে বলেন। তিনি সোহানের উত্তরগুলো লিখে। রাখেন এবং তার সমস্যা বুঝতে পারেন।
দৃশ্যকল্প-২: পাভেল, রুবেল ও জুয়েল তিন ভাই। পাভেল দেখতে খাটো, গোলগাল ও মিশুক প্রকৃতির। রুবেল লম্বা, হাল্কা-পাতলা গড়নের এবং নির্জনতাপ্রিয়। অন্যদিকে জুয়েল সুঠাম দেহের অধিকারী। সে খেলাধুলা, পছন্দ করে এবং দুঃসাহসিক কাজ করে আনন্দ পায়।