1. মার্টিন লুথার কিং আমেরিকার নাগরিক অধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন । ওয়াশিংটনের লিংকন মেমোরিয়ালে আড়াই লক্ষ জনতার সামনে এক অসাধারণ বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। বর্ণবাদ বিরোধী এ নেতা আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ জনগণের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হয়ে তৎকালীন সরকারের দমন-পীড়নের শিকার হন। তিনি বৈষম্যহীন সমাজ প্রত্যাশা করে বিশবারেরও বেশি কারারুদ্ধ হন। তবুও তিনি তাঁর লক্ষ্যে অটল ও অবিচল ছিলেন। শেষে ঘাতকের হাতে মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত জেনেও তিনি আদর্শচ্যুত হননি ।
2. শহরের গৃহকর্মী মায়ের সন্তান আরিফ আর ধনী ব্যবসায়ী বাবার সন্তান আসিফ। দুজনের বন্ধুত্ব অত্যন্ত সুদৃঢ় হলেও আসিফের বাবা আরিফের মেলামেশা, বাসায় আসা এবং ড্রয়িং রুমে আপ্যায়ন মেনে নিতে পারেন না। আরিফকে বাসায় আসতে তিনি নিষেধ করেছেন। এমনকি অকথ্য ভাষায় বকাবকি করে বাড়ি থেকে তাড়িয়েও দিয়েছেন। সম্প্রতি ডেঙ্গু আক্রান্ত সংকটাপন্ন বন্ধু আসিফকে আরিফই রক্ত দিয়েছে, জীবন বাঁচিয়ে মানবিক দৃষ্টান্ত রেখেছে।
3. মুকিম সাহেব রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ময়লার ভাগাড়ের পাশে আট মাস বয়সি এক শিশুর কান্না শুনতে পান। পরম যত্নে বুকে তুলে নেন এবং নাম দেন আজমল। সে প্রায় ত্রিশ বছর আগের ঘটনা তখন থেকেই তিনি আজমলকে স্নেহ-ভালোবাসায় বড় করে তোলেন। নীচু মানসিকতার আজমল ছিল অত্যন্ত লোভী। সে সুযোগ খোঁজে আশ্রয়দাতার সমস্ত সম্পত্তি হস্তগত করার। একদিন অস্ত্রের মুখে মুকিম সাহেবকে তাঁর সমস্ত সম্পত্তি নিজের নামে লিখে দিতে বাধ্য করে এবং স্বহস্তে আশ্রয়দাতাকে হত্যা করে আজমল ।
4. পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে সদা তৎপর। নিজের ক্ষমতা, লোভ, প্রভাব ও স্বপ্নকে টিকিয়ে রাখতে যেকোনো কাজ তার দ্বারা সম্ভব। যারা প্রবৃত্তির এই ফাঁদে পা দেয় তারাই জানে এই দুনিয়ায় সচ্ছলভাবে টিকে থাকতে হলে তাকে নিজের সবটুকু দিয়েই চেষ্টা করতে হবে। ন্যায়-অন্যায়, পাপবোধ সেখানে ক্ষণিকের জন্য বিবেকবোধকে জাগ্রত করলেও তা দুনিয়ার স্বার্থে অচিরেই ম্লান হয়ে যায় ।
5. মুক্তির মন্দির সোপানতলে
কত প্রাণ হলো বলিদান,
লেখা আছে অশ্রুজলে । কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা,
বন্দিশালার ওই শিকল ভাঙা
তাঁরা কি ফিরিবে আজ সুপ্রভাতে
যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে। — মোহিনী চৌধুরী ।