1. রাকিব বুয়াইয়া বংশের ইতিহাস সম্পর্কে পড়ছিল। আব্বাসীয় বংশের দুর্বল শাসকদের সময়ে সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অংশে যে সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বংশের উত্থান ঘটে বুয়াইয়া বংশ তাঁর মধ্যে অন্যতম। বুয়াইয়া বংশের শাসকগণ এই আব্বাসীয় বংশের ইতিহাস তৈরিত্বে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। নিষ্ঠুরতা,, অযোগ্যতা, আত্মকলহ ও শিয়া-সুন্নি বিরোধ প্রভৃতি কারণে বুয়াইয়া বংশের পতন ঘটে।
2. সাবিনা তার ইতিহাস বই পড়ে জানতে পারলো যে 'X' নামক খলিফা ছিলেন একটি বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা। তিনি কঠোর হস্তে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিদ্রোহ দমন করেন। তিনি আরবি ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দান করেন। আরবি লিপির উৎকর্ষ সাধান, আরবি মুদ্রার প্রচলন এবং ডাক বিভাগের সংস্কার তার শাসনামলের অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক। তার পুত্রগণও পরবর্তীতে ঐ বংশের রাজা হন ।
3. করিমা আব্বাসীয় খিলাফতের একজন শাসক সম্পর্কে পড়ছিল, যাকে বলা হয় আরব্য রজনীর ইতিহাসের নায়ক। তিনি তাঁর শাসন আমলে বিভিন্ন বিদ্রোহ বিচক্ষণতার সাথে দমন করেন। তিনি ছিলেন একজন বিজ্ঞ কূটনীতিক। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে তাঁর কৃতিত্ব ছিল অসাধারণ। তাঁর বৈদেশিক নীতি ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রাত্রিবেলায় ছদ্মবেশে তিনি প্রজাদের অবস্থা স্বচোখে অবলোকন করতেন। তাঁর সময়কালকে বলা হয় আব্বসীয় খিলাফতের স্বর্ণযুগ। এ সময়ে বাগদাদ বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ নগরীর মর্যাদা লাভ করে এবং বাগদাদকে বলা হতো প্রাচ্যের রাণি ।
4. ডেভিড ও জেমস দুই ভাই । তাদের পিতা উইলিয়াম মৃত্যুকালে জ্যেষ্ঠপুত্র ডেভিডকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যান। কিন্তু ডেভিড ছিল আমোদপ্রিয়, বিলাসী ও অস্থিরমতি। অপরদিকে জেমস ধার্মিক, বিচক্ষণ, ন্যায়পরায়ণ, সত্যবাদী এবং মানবিক ছিলেন। চারিত্রিক গুণাবলির জন্য জেমস প্রজা সকলের নিকট অত্যন্ত প্রিয়পাত্র ছিলেন। ফলে দুই ভাইয়ের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব অনিবার্য হয়ে উঠে। ভ্রাতৃদ্বন্দ্বে জেমস ডেভিডকে পরাজিত করে ক্ষমতায় বসেন ।
5. ইতিহাসের শিক্ষক আব্দুর রহমান একজন আব্বাসীয় খলিফা সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন, যিনি স্বীয় ভ্রাতার সাথে উত্তরাধিকার দ্বন্দ্বে জয়লাভ করে সিংহাসনে বসেন। তিনি শাসনকালের প্রথম পর্যায়ে কয়েক বছর উজিরের সাহায্যে শাসনকার্য চালান। পরবর্তীতে তিনি স্বহস্তে শাসনকার্য পরিচালনা করেন। তাঁর সময়কাল ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। কারণ এ যুগেই সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও চিন্তাধারার বিকাশ লাভ করে। ইতিহাস, ধর্ম-দর্শন, জ্ঞান- বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্যের উন্নতির জন্য তিনি একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেন। জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্যের চরম উৎকর্ষতায় আব্বাসীয় খিলাফতের ইতিহাসে তাঁর শাসনকাল উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে।