1. 'অনন্যা ফ্যাশন'-এর মালিক মি. রাহুল তৈরি পোশাক বিক্রেতা। ঘনবসতি এলাকা হিসেবে তিনি চট্টগ্রামের হালিশহরে একটি সুতি বস্ত্রের দোকান প্রতিষ্ঠা করেন। তার দোকানের পণ্য উন্নতমানের এবং মূল্যও তুলনামূলক বেশি। পার্শ্ববর্তী আরও কয়েকটি প্রতিযোগী দোকান থাকা সত্ত্বেও তার দোকানে ক্রেতার সংখ্যা বেশি। জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করে তিনি দেশীয় পোশাকের পাশাপাশি কিছু বিদেশি পোশাক আমদানির সিদ্ধান্ত নেন।
2.
মি. রিয়াদ কুষ্টিয়ায় একটি অটো রাইস মিলের মালিক। তিনি দেশের বিভিনড়ব জেলায় পরিবেশক নিয়োগ দিয়ে নিজস্ব ট্রাকে চাল পাঠিয়ে দেন। কিন্তু বছরের সব ঋতুতে পরিবেশকেরা একই পরিমাণ চালের অর্ডার করেন না। তাছাড়া ধান ক্রয় করতে হয় বছরে একবার বা দু’বার। ধান ও চাল সংরক্ষণের জন্য দুটি পৃথক গোডাউনের প্রয়োজন। এ জন্য মি. রিয়াদ মিলের পার্শ্ববর্তী এক একর জমি ক্রয় করেন। সেখানে গোডাউন তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।
3.
‘কোয়ালিটি টেইলার্স অ্যান্ড ফেব্রিক্স’ ঢাকার রমনা মার্কেটের একটি দেশখ্যাত শার্টিং ও স্যুটিং -এর দোকান। এখানকার ক্রেতারা অধিকাংশই অভিজাত শ্রেণির। কোয়ালিটি টেইলার্স গ্রীষ্মকালে কাপড়ের মূল্য ও মেকিং চার্জ পুনঃনির্ধারণ করে। ফলে গ্রীষ্মকালেও প্রচুর চাহিদা থাকে।
4. সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিল বরিশালে অবস্থিত। এ মিলে মিশরীয় তুলা ব্যবহার করা হয় বলে উৎপাদিত সুতার মান খুবই উন্নত তাঁতীরা এ মিলের সুতা কিনতে আগ্রহী উৎপাদিত সুতা নারায়ণগঞ্জ, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলায় এজেন্টদের কাছে পৌছানো হয়।
5. মি. মিজান কুমিল্লা শহরে 'মৌসুমী' নামে একটি বৃহদায়তনের খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। এখানে খাদ্য-সামগ্রীর পাশাপাশি কিছু গৃহস্থালি সামগ্রীও ক্রেতাদের স্ব-সেবায় বিক্রি করা হয়। বিক্রি বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্ডার নেন। অল্পদিনের মধ্যে তাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে এবং বিক্রি আশানুরূপ বেড়ে যায়।