1. একসময়ের দরিদ্র ও মেধাবির ছেলে ইমতিয়াজ বর্তমানে একজন স্বনামধন্য ডাক্তার। দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে কয়েকজন বন্ধু নিয়ে তার গ্রামে দরিদ্র গ্রামবাসীদের স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ৮০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে একটি হাসপাতাল গড়ে তোলেন। হাসপাতালটির অর্জিত মুনাফা তারা গ্রহণ না করে হাসপাতাল সম্প্রসারণ ব্যায় করেন। কয়েক বছর পর হাসপাতালটির স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে পরিচালিত হতে থাকলে তারা তাদের বিনিয়োজিত মধ্যম তুলে নিতে শুরু করেন।
2. জনাব সাঈদ ও জনপ্রিয়াম দুজন শেয়ার বাজার থেকে “লোটাস টিএলসি” এর ১০ লক্ষ ও ৫ লক্ষ টাকার শেয়ার ক্রয় করেন জনাব সাঈদ বার্ষিক সাধারণ সভায় আমন্ত্রণ পেলেও জনাব সিয়ামকে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়নি। কোম্পানিটি বিলোপ সাধনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে সিয়াম তার বিনিয়োগ্রিত ৫ লক্ষ টাকা ফেরত পেলেও জবাব সাঈদ ৩ লক্ষ টাকা কম পায়।
3. OPEK প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল উত্তোলনের জন্য বিশ্ব স্বীকৃত একটি প্রতিষ্ঠান। খনি হতে অপরিশোধিত তেল উত্তোলন করে এবং বিভিন্ন তেল ও গ্যাস প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠানসমূহ কে সরবরাহ করে। কিন্তু তেল উত্তোলন করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ভূমি ধ্বংসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সচ্ছলতা অর্জনের বাধাগ্রস্ত হয়।
4. জনাব রিয়াজ ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে একটি স্টেশনারি দোকান স্থাপন করেন। তার দোকানে কাছে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি লক্ষ্য করলেন বর্তমান শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ কাজ হচ্ছে ইন্টারনেট ভিত্তিক। তিনি নতুন এই পরিস্থিতিতে দুটি কম্পিউটার, দুটি প্রিন্টার ও দুটি মডেম দোকানের জন্য ক্রয় করেন। এছাড়া দুইজন দক্ষ কর্মী নিয়োগ দেন। তার ব্যবসা এখন আগের থেকে বেশি পরিচিতি পেয়েছে এবং বেশি বিক্রয় সম্ভব হচ্ছে।
5. মুনির, মুসা ও মিঠুন পারস্পরিক সমঝোতায় নারায়ণগঞ্জের বিসিক এলাকায় "বাঁধন ফ্যাশন হাউস" নামে একটি বাইং হাউজ প্রতিষ্ঠা করেন। চুক্তি অনুযায়ী মুসার মূলধন ও দায়ের পরিমাণ সমান। বেশ কয়েক বছর ব্যবসায় ভালো চললেও ব্যক্তিগত সেবার জন্য আদালত মুসাকে দেউলিয়া ঘোষিত করে। এমতাবস্থায় ব্যবসায়ের পরিণতি নিয়ে মুনির ও মিথুনকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।