1.
আমার বিশ্ব ভ্রমণ কেবলি তোমার কাছে যাওয়া
সকল নিসর্গ ছুঁয়ে তোমাকে খুঁজে পাওয়া। পৃথিবীর শেষপ্রান্তে গিয়ে দেখেছি তোমার মুখ
আরম্ভ বিন্দুতে দাঁড়ানো আমি সেই বিস্মিত, উজবুক।
2.
ডিম পাড়ে হাঁসে, খায় বাগডাশে
বুঝছোনি তাই বুঝছোনি, আসল কথা বুঝছোনি?
এক গেরামের গরিব চাষি কালামিয়া নাম
সবার পেটে ভাত জুটাইতে ক্ষেত্রে ঝরায় ঘাম
ও তাহার ছাওয়াল কান্দে ক্ষুধার জ্বালায়
মহাজনরা হাসে।
ডিম পাড়ে হাঁসে, খায় বাগডাশে।
3.
আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি পুনঃমহাবিপ্লব হেতু
এই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু।
সাত সাতশ নরকজ্বালা জ্বলে মম ললাটে।
মম ধূম কুণ্ডলী করেছে শিবের ত্রিনয়ন ঘন ঘোলাটে।
আমি স্রষ্টার বুকে সৃষ্টি পাপের অনুতাপ-তাপ হাহাকার
আর মর্ত্যে সাহারা-গোবি ছাপ
আমি অশিব তিক্ত অভিশাপ।
4.
যে পথে গিয়েছে তারা কালিদাস, দান্তে ও হোমার
আজো রবীন্দ্রনাথ, বেদব্যাস, খৈয়াম, হাফিজ,
সুকান্ত-মিল্টন-শেলী অকাতরে ঢেলে মনসিজ
সেই পথে গেছে সেও। এই শান্তি আমার তোমার ।
হে মন, প্রফুল্ল হও। শোনো তার মৃত্যুহীন গান
মানুষ সকল সত্য। এই সত্যে আমি অনির্বাণ।
5.
সত্য নিজের শক্তিতে বলীয়ান। সেজন্য সত্য কখনো অন্যের ওপর নির্ভলশীল নয়। সত্যের শক্তি না থাকলে পৃথিবী এতদিন টিকে থাকতো না। সমাজের পরতে পরতে যে অসত্য লুকিয়ে আছে তার চিত্র বাস্তবায়িত হতো। বাস্তব জীবনে সত্যের সাধনা জীবনকে সার্থক ও সুন্দর করে তোলে। তাই সত্যের শক্তি সার্বজনীন।