1. রনি, জনি ও তাদের আরও ৫ বন্ধু মিলে সমঝোতার ভিত্তিতে একটি কম্পিউটার ব্যবসায় শুরু করলেন। সুমি কম্পিউটার বিষয়ক জ্ঞানে পারদর্শী। সে কারণে এ ব্যবসায়ে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু সুমি কোনো মূলধন সরবরাহ করেনি। হঠাৎ রনি পাগল হয়ে গেলে তাদের ব্যবসায়টি জটিলতার সম্মুখীন হয়।
2. হায়দারের বাবা প্রতি মাসে তাকে টাকা পাঠান। হায়দার তারপাশে অবস্থিত বিকাশ এজেন্টের কাছে গিয়ে মোবাইল ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করতে পারেন। বিকাশের এ ধরনের ব্যাংকিং সেবা পেয়ে হায়দারের মতো অন্যরা হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত নিলেন।
3. সালাম কলেজের নিকট একটি স্টেশনারি দোকান পরিচালনা করে। সততা ও দক্ষতার কারণে তার ব্যবসায়টি খুব লাভজনক হয়ে ওঠে। তাই সে এর পাশাপাশি একটি ফটোকপি মেশিন ও কম্পিউটার ক্রয় করে অফিসের বিভিন্ন কাজ করে থাকে। এজন্য সে মাসিক টাকার বিনিময়ে তার ভাইকে এ কাজে নিযুক্ত করে। বছরান্তে সালামের ভাই মুনাফা দাবি করে।
4. পাবনার বিল্লালসহ ৫০ জন তাঁতি মিলে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেন। তিন বছরে তাদের মূলধন দাঁড়ায় ২০ লক্ষ টাকা। চতুর্থ বছরে মোট মুনাফা ১,০০,০০০ টাকা থেকে ৩৫,০০০ টাকা তাদের সংরক্ষিত তহবিলে এবং ১৫,০০০ টাকা উন্নয়ন তহবিলে জমা করেন। অবশিষ্ট টাকা সদস্যরা নিজেদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে নিলেন।
5. কৃষিশিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে জনাব রনি একটি কৃষি খামার স্থাপন করলেন। তার খামারে উৎপাদিত ফসল স্থানীয় বাজারে বিক্রি করায় একদিকে যেমন বাজারে পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে তেমনি স্থানীয় বেকার যুবকরা তার খামারে কাজ পেয়ে বেকারত্বের অভিশাপ ঘুচিয়েছে। এলাকায় তিনি একজন সফল মানুষ হিসেবে বিবেচিত হন।